প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এবং তাদের নেতা নেত্রীরা দাবি করছে যে, এসআইআরের আতঙ্কে রাজ্যে একের পর এক মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। তবে পশ্চিমবঙ্গের বাইরেও একাধিক রাজ্যে এসআইআর চালু হয়েছে। সেখানে কেন এই ধরনের ঘটনা ঘটছে না? কেন শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গেই এই ধরনের ঘটনা ঘটছে? তা নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধীরা। তবে এবার এই সমস্ত এস আই আর এর পরিপ্রেক্ষিতে মৃত্যু হচ্ছে বলে যে সমস্ত কথা শাসক দলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, তা নিয়ে তৃণমূলকেই কটাক্ষ করলেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর।
প্রসঙ্গত, এসআইআর চালু হওয়ার পর থেকেই পশ্চিমবঙ্গের বুকে একটি নতুন প্রচার শুরু করেছে এই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। বিরোধীরা দাবি করছে, তৃণমূল এতটাই আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছে যে, তারা কোনো মানুষের স্বাভাবিক মৃত্যু হলেও সেই বিষয়টি এসআইআরের কারণ বলে দাবি করতে শুরু করেছে। এমনকি এই রাজ্যে যাদের মৃত্যু হচ্ছে, সেখানে পৌঁছে গিয়ে তৃণমূল এসআইআরের কারণেই মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন বলে দাবি করছেন। আসলে তারা মূল বিষয় থেকে দৃষ্টি ঘোরাতে এবং এসআইআর যাতে বন্ধ হয়, তার জন্য মরিয়া চেষ্টা শুরু করে দিয়েছে বলেই দাবি বিজেপির। আর তার মধ্যেই এবার আরও বড় দাবি করে বসলেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক। এক্ষেত্রে তৃণমূল থেকে শুরু করে বিজেপি, দুই দলকেই কটাক্ষ করলেন তিনি।
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। আর সেখানেই এসআইয়ারের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যে একের পর এক মৃত্যু হচ্ছে বলে যে দাবি করা হচ্ছে, সেই বিষয় নিয়ে তাকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “ভাগাড়ের শকুন যেমন মরা গরু খুঁজে বেড়ায়, বিজেপিও বলে, তৃণমূলও বলে, দুজনেই এখন কার মৃত্যু হচ্ছে, কে গলায় দড়ি দিয়ে মরছে, তার বাড়িতে চলে যাচ্ছেন, নমস্কার করতে, প্রণাম করতে।” আর এখানেই একাংশ বলছেন যে, হুমায়ুন কবীর তো তৃণমূলের বিধায়ক। ফলে তিনি বিজেপিকে আক্রমণ করবেন, এটা অত্যন্ত স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু দলের সঙ্গে তার দূরত্ব এবং তিক্ততা এতটাই প্রকট হয়েছে যে, আজ একেবারে হাঁটে হাড়ি ভেঙে দিয়ে এসআইআর নিয়ে তৃণমূলও, যে সমস্ত জায়গায় সাধারণ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে, তা নিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করছে, তা স্পষ্ট ভাষায় বুঝিয়ে দিলেন ভরতপুরের বিধায়ক।