প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রথম থেকেই এসআইআর করতে দেবেন না বলে হুংকার ছেড়েছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর হয়েছে। এমনকি তিনি এটাও বলেছিলেন যে, যতক্ষণ না রাজ্যের মানুষ ফর্ম ফিলাপ না করছেন, ততক্ষণ তিনি তার ফর্ম পূরণ করবেন না। কিন্তু এসআইআরের ফর্ম তথ্যে আপলোড করার যেদিন শেষ সময়সীমা ছিল, তার আগেই তিনি তার ফর্ম জমা করে দিয়েছেন বলে খবর। আর সেই প্রসঙ্গেই বলতে গিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য।

এসআইআর ফর্মের আপলোড করার যেদিন শেষ সময়সীমা ছিলো, সেদিনই সকলের মধ্যে কৌতুহল তৈরি হয়েছিল যে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কি করবেন? তিনি কি তার ফর্ম জমা দিয়েছেন, নাকি এখনও পর্যন্ত তিনি তার ফর্ম জমা করেননি? কিন্তু শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী জানা যাচ্ছে যে, তিনি সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই তার ফর্ম জমা করেছেন। ইতিমধ্যেই তা সিস্টেমে তোলা হয়ে গিয়েছে বলেও খবর। আর যে মুখ্যমন্ত্রী সাধারণ মানুষকে এসআইআর নিয়ে ভুল বোঝাচ্ছেন, যিনি বলেছিলেন যে, তিনি যতক্ষণ না রাজ্যের সমস্ত মানুষ ফর্ম ফিলাপ করছেন, তিনি করবেন না। সেই মুখ্যমন্ত্রী কি করে তলায় তলায় ফর্ম ফিলাপ করে দিলেন? ইতিমধ্যেই তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। আর সেই বিষয়েই মুখ্যমন্ত্রীর যে দ্বৈত নীতি, কথা এক এবং কাজে যেভাবে আর এক আচরণ করেন তিনি, তা নিয়ে তার পর্দাফাঁস করে দিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি।

এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্য বিজেপির সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। আর সেখানেই তিনি বলেন, “উনি সব কিছুই করেন। আবার কিছুই করেন না। উনি কোভিডের সময় ভ্যাকসিনকে কটাক্ষ করেছিলেন। তবে নিজেই সবার আগে ভ্যাকসিন নিয়ে নিয়েছিলেন। এগুলো সব মানুষ জানে। তবে এসআইআর একটি সাংবিধানিক প্রক্রিয়া। ভোট শুদ্ধিকরণের কাজ চলছে। সারা দেশের মানুষ এতে অংশগ্রহণ করেছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সহযোগিতা করছে। বিরোধিতা তো থাকবে। আমাদের পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তে যেভাবে বদল আসছে, তাতে মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে যে প্রত্যাশা করা হয়েছিল, সেটা হয়ত তিনি পূরণ করতে পারেননি।”