প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- একজন নোবেলজয়ী হয়েও কি করে তিনি এমন কথা বলতে পারেন, কি করে তিনি এমন মন্তব্য করতে পারেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এখানে বলা হচ্ছে, অমর্ত্য সেনের কথা। যিনি বাঙালিকে গর্বিত করেছেন। তবে বর্তমানে তৃণমূল সরকারের আমলে যারা বাংলার শিল্পী, সাহিত্যিক, যারা নোবেল জয়ী মানুষ, তাদের ভূমিকা নিয়ে বারবার করে প্রশ্ন উঠেছে। কারণ এই বাংলার বুকে যখন অত্যাচার হচ্ছে, যখন অনাচার হচ্ছে, তখন কেন তারা রাস্তায় বের হচ্ছে না, তখন কেন তারা চুপচাপ রয়েছেন! এই প্রশ্ন স্বাভাবিকভাবেই মানুষের মধ্যে উঠতে শুরু করেছে। আর তার মধ্যেই এসআইআর নিয়ে যখন তৃণমূল প্রতিবাদ করছে, ঠিক তখনই তৃণমূলের সুরের সঙ্গে সুর মিলিয়ে এসআইআর হলে অর্থনৈতিক বৈষম্য বাড়বে বলে মন্তব্য করেছেন অমর্ত্য সেন। আর তার পরেই বিশ্বভারতীতে তার কীর্তি নিয়ে ভয়ংকর মন্তব্য করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
এই রাজ্যের বিরোধী দল এবং দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মাঝেমধ্যেই দাবি করেন যে, পশ্চিমবঙ্গের জ্বলন্ত সমস্যায় পাশে পাওয়া যায় না বুদ্ধিজীবীদের। তারা চলচ্চিত্র উৎসবে আমোদ, প্রমোদে ব্যস্ত থাকেন। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে যখন নারীরা অত্যাচারিত হয়, যখন বেকার যুবকদের চাকরি চলে যায়, যখন রাস্তায় নামার প্রয়োজন, তখন তাদের মোমবাতি নিয়ে একজনকেও মিছিলে দেখতে পাওয়া যায় না। আসলে তারা এখন বুদ্ধিজীবী থেকে ভাতাজীবিতে পরিণত হয়েছেন বলেও কটাক্ষ করে বিরোধীরা। আর এসবের মধ্যেই এসআইআর যখন একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া, যখন অন্য কোনো রাজ্যে এর বিরোধিতা হচ্ছে না, যখন শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গেই কোনো একটি কারণে এখানকার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এই এসআইআরের বিরুদ্ধে অন্ধ বিরোধিতা করতে শুরু করেছে বলে দাবি করছে বিজেপি, ঠিক তখনই সেই এসআইআরের বিরুদ্ধেই মুখ খুলতে দেখা গেল নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে। যার পাল্টা মুখ খুলেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
এদিন এসআইআরের বিরুদ্ধে অমর্ত্য সেনের যে মন্তব্য, সেই বিষয়ে শুভেন্দুবাবুকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “অমর্ত্য সেন মমতা ব্যানার্জিকে সন্তুষ্ট করার জন্য যখন যা খুশি বলেন। কারণ শান্তিনিকেতনে অবৈধভাবে জমি কব্জা করার ক্ষেত্রে তিনি কি কি করেছেন, তা আমার কাছ থেকে শুনতে হবে না। এটা আপনারা বিশ্বভারতীর প্রাক্তন উপাচার্য ডঃ চক্রবর্তীর কাছ থেকে শুনে নেবেন।”