প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
যখন কোনোভাবেই পশ্চিমবঙ্গে এসআইআরকে আটকানো গেল না, তখন তৃণমূল মৃতদেহ নিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করছে। যখনই পশ্চিমবঙ্গে যে মৃত্যু হচ্ছে, তাকেই এসআইআরের কারণ হিসেবে ব্যাখ্যা করে সোচ্চার হচ্ছে এই রাজ্যের শাসক দল। দিকে দিকে তারা আওয়াজ তুলছে যে, বিএলওদের ওপরেও মানসিক চাপ হচ্ছে। যার কারণে আবার এক মহিলা বিএলওর মৃত্যুতে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন কমিশনকে আক্রমণ করেছেন। তিনি বোঝাতে চেয়েছেন যে, কাজের অত্যাধিক চাপের জন্যই তারা এভাবে প্রাণ হারাচ্ছেন। তবে বিএলওদের ওপর এই অত্যাধিক কাজের চাপ পড়ছে যে রাজ্য সরকারের ডেটা এন্ট্রি অপারেটর নিয়োগ না করার জন্যই এবং যদি এই এসআইআরের কাজের চাপের কারণে কোনো বিএলওর মৃত্যু হয়, তাহলে তার জন্য যে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং তার সরকার দায়ী, এবার সেই দাবি করে মুখ্যমন্ত্রীকে পাল্টা চাপের মুখে ফেলে দিলেন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল।

গতকাল খবর আসে যে, রাজ্যে এক মহিলা বিএলওর মৃত্যু হয়েছে। আর সেই ঘটনাকে হাতিয়ার করে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন। তিনি দাবি করার চেষ্টা করেছেন যে, এসআইআরের যে কাজের চাপ, সেই কাজের চাপ সহ্য না করতে পেরেই এই মহিলা বিএলও প্রাণ হারিয়েছেন। তবে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দীর্ঘদিন থেকেই দাবি করছেন যে, অন্যান্য রাজ্যেও এসআইআর হচ্ছে, সেখানে কেউ এই এসআইআরের কারণে প্রাণ হারাচ্ছেন না। কেন বেছে বেছে পশ্চিমবঙ্গেই এরকম ঘটনা ঘটছে? শুধু তাই নয়, এসআইআরের জন্য অন্যান্য রাজ্য ডেটা এন্ট্রি অপারেটর নিয়োগ করেছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ সেই নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ রেখেছে, যাতে এসআইআরের কাজ বানচাল করা যায়। আর রাজ্য সরকারের এই মনোভাবের জন্যই বিএলওদের অত্যাধিক কাজ করতে হচ্ছে এবং তার ফলে যদি কারও মৃত্যু হয়, তাহলে এর জন্য রাজ্য সরকার দায়ী বলেই এতদিন দাবি করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। আর এবার সেই সুরেই সুর মিলিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকেই দাড় করালেন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল।

এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। আর সেখানেই এক মহিলা বিয়ের মৃত্যু নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে সোচ্চার হয়েছেন, সেই বিষয়ে পাল্টা মুখ্যমন্ত্রীর দিকেই এই প্রশ্ন ছুড়ে দেন তিনি। অগ্নিমিত্রা দেবী বলেন, “দেখুন, নির্বাচন কমিশন কি চাপটা দিচ্ছে? তৃণমূল দল যেভাবে নির্বাচন কমিশনের ওপর সমস্ত অভিযোগ চাপাচ্ছে, চাপটা তো মনে হয়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি আপনি নিজে দিচ্ছেন। নির্বাচন কমিশন অর্থনৈতিক স্বাধীনতা চেয়েছিল, আপনারা সেটা দেননি। ১০০০ জন ডেটা এন্ট্রি অপারেটর নিয়োগের জন্য অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। আজকে যদি সেটা নিয়োগ না করা হয়, তাহলে আজকে সেই কাজটা বিএলওদের করতে হচ্ছে। ফলে তাদের ওপর চাপ বাড়ছে। আপনি অর্থনৈতিক স্বাধীনতা দেবেন না, আপনি ফাইল পাস করবেন না, ফাইল সাইডে রেখে দেবেন। আর তারপর কোনো বিএলওর মৃত্যু হলে আপনি নির্বাচন কমিশনকে দোষ দেবেন? দোষটা তো আপনার। মমতা ব্যানার্জি, আপনার।”