প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, পশ্চিমবঙ্গ বাদেও দেশের আরও বেশ কিছু রাজ্যে শুরু হয়েছে এসআইআর প্রক্রিয়া। কিন্তু বাংলায় যেভাবে এই এসআইআরের বিরোধিতা তৃণমূল কংগ্রেস শুরু করেছে, আর কোনো রাজ্যে তেমন বিরোধিতা করতে দেখা যাচ্ছে না সেখানকার শাসক দলকে। স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূলের এসআইআরের প্রতি এত আতঙ্ক কেন, তা নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন উঠছে। বিরোধীরা দাবি করছেন, এসআইআর হলে অবৈধ ভোটব্যাঙ্ক ধ্বংস হয়ে যাবে। আর তার আতঙ্কেই তৃণমূলের এত ছটফটানি। ইতিমধ্যেই এসআইআর প্রক্রিয়া শুরু হলে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যাবেন বিএলওরা। স্বাভাবিকভাবেই তারা নিরাপত্তার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন তো, সেই নিয়েও বিভিন্ন মহলে সংশয় তৈরি হয়েছে। আদৌ এই রাজ্যে ঠিকমতো এসআইআর হবে তো? যেখানে শাসক দল প্রতিনিয়ত হুমকি, হুঁশিয়ারি দিচ্ছে, সেখানে কিভাবে সুষ্ঠুভাবে তার প্রক্রিয়া পরিচালিত হবে, বিভিন্ন মহলে যখন এই নিয়ে চর্চা চলছে, ঠিক তখনই সংবিধানের কথা তুলে ধরে বড় মন্তব্য করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য।

বলা বাহুল্য, ইতিমধ্যেই এসআইআর প্রক্রিয়ার প্রাথমিক কাজ শুরু করে দিয়েছেন নির্বাচন কমিশন। আগামী ৪ তারিখ থেকে বিএল ষওরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ফর্ম দেবেন। স্বাভাবিকভাবেই তারা সুষ্ঠুভাবে কাজ করতে পারবেন কিনা, তা নিয়েই সংশয় তৈরি হয়েছে বিভিন্ন মহলে। যেখানে প্রকাশ্যে এসআইআরের বিরোধিতা করছে তৃণমূল, সেখানে বুথ লেভেল অফিসাররা আদৌ এই রাজ্যের বুকে সেই হুমকি, হুঁশিয়ারিকে উপেক্ষা করে নিরপেক্ষতার সহকারে কতটা কাজ করতে পারবেন, সেই নিয়ে চর্চা চলছে বিভিন্ন মহলে। আর এসবের মধ্যেই গোটা প্রক্রিয়ার মধ্যে বিজেপি যে কোনোভাবেই জড়িত নেই, এমনকি এসআইআরকে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে নির্বাচন কমিশন সাংবিধানিক সংস্থা অনুযায়ী সংবিধান আক্রান্ত হলে পদক্ষেপ নেবে বলেই জানিয়ে দিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি।

এদিন এই ব্যাপারে শমীক ভট্টাচার্যকে একটি প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “এখানে এসআইআর করছে নির্বাচন কমিশন। এটার মধ্যে তো বিজেপি নেই। নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক সংস্থা। এবার সাংবিধানিক সংস্থা যদি আক্রান্ত হয়, তাহলে মনে করতে হবে, রাজ্যে সংবিধান নেই। তখন সংবিধানকে তার পথ খুঁজতে হবে। এর জবাব নির্বাচন কমিশন দিতে পারেন, খুব বেশি হলে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল দিতে পারেন। এর মধ্যে বিজেপি নেই।”