প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এসআইআরের প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গে শুরু হয়ে গিয়েছে। বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন বুথ লেভেল অফিসাররা। তাদের সঙ্গে যাচ্ছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরাও। শাসক দলের পাশাপাশি বিরোধী দলের রাজনৈতিক প্রতিনিধিরা যখন বিএলওদের সঙ্গে বাড়ি বাড়ি ফর্ম বিলির এই প্রক্রিয়াতে সামিল হচ্ছেন, ঠিক তখনই বিভিন্ন জায়গায় বিরোধীদলের এজেন্টদের কাছে আসছে হুমকি, হুঁশিয়ারি। জাতীয় নির্বাচন কমিশন গোটা প্রক্রিয়াকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার কথা বলেছে। কিন্তু নির্বাচনের এখনও বেশ কয়েক মাস দেরি থাকলেও এসআইআরের প্রক্রিয়া শুরু হতে না হতেই যেভাবে পশ্চিমবঙ্গে সন্ত্রাস এবং ভয় দেখানোর বাতাবরণ শুরু করেছে এই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস, তাতে প্রশ্ন উঠছে যে, এখনই যদি এই পরিস্থিতি তৈরি হয়, তাহলে নির্বাচনের সময় কি হবে?
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই এসআইআরের ফর্ম বিলিকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্ন বিচ্ছিন্ন ঘটনার খবর সামনে আসতে শুরু করেছে। বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে, বিভিন্ন জায়গায় তাদের যে সমস্ত এজেন্টরা এই প্রক্রিয়াতে রয়েছেন, তাদের ভয় দেখানো থেকে শুরু করে হুমকি, হুঁশিয়ারি দেওয়া হচ্ছে। এমনকি বেশ কিছু জায়গায় তারা আক্রান্ত পর্যন্ত হচ্ছেন। তবে এবার যে ঘটনার খবর সামনে এলো, তা কার্যত বেনজির বলেই মনে করা হচ্ছে। যেখানে কোচবিহারের মাথাভাঙ্গার পচাগড় গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত একটি বুথে বিজেপির এক বিএলএকে রীতিমত মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, পরবর্তীতে তাকে জুতোর মালা পড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। আর গোটা ঘটনায় অভিযোগের আঙ্গুল উঠেছে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে।
আর এই ঘটনা সামনে আসতেই বিরোধীদের পক্ষ থেকে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে যে, এরপরেও কি মুখ বুজে বসে থাকবে নির্বাচন কমিশন? কেন যারা এই ঘটনা ঘটাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না? এখনই যদি রাজ্যের শাসক দল এসআইআর শুরু হওয়ার প্রাথমিক সূচনা পর্বে বিরোধীদলের এজেন্টদের এইভাবে হেনস্থা করতে শুরু করে, ভবিষ্যতে তো তাহলে তারা আরও বড় সাহস পেয়ে যাবে? আর দিনের শেষে যদি এই ভাবেই চলতে থাকে, তাহলে তো প্রহসনে পরিণত হয়ে যাবে পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন। যে এসআইআর প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে হওয়ার কথা, সেখানে যদি বিরোধীদলের এজেন্টদের ভয় দেখানো হয় এবং শেষ পর্যন্ত তারা যদি এই প্রক্রিয়াতে সামিল হতে না পারেন, তাহলে তো তৃণমূল নিজেদের মত করে বুথ লেভেল অফিসারদের পরিচালনা করবে। আর নির্বাচনের সময় তৃণমূল কি পরিমান সন্ত্রাস চালাবে, তা আর নতুন করে বলতে হবে না। তাই এই দাবি তোলার পাশাপাশি মাথাভাঙ্গায় যে পঞ্চায়েতে বিজেপির বিএলএকে জুতোর মালা পড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, সেই ঘটনায় যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি গ্রহণ করা উচিত বলেই দাবি জানাচ্ছে বিজেপি।