প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
বহু চিৎকার চেঁচামেচি, বহু বিরোধিতার পরেও যখন তৃণমূল কংগ্রেস এসআইআর প্রক্রিয়া আটকাতে পারেনি, তখন তারা একটি নতুন বিষয়কে সামনে এনে প্রতিবাদ করতে শুরু করেছে। পশ্চিমবঙ্গে যে মানুষেরই মৃত্যু হচ্ছে না কেন, তৃণমূলের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে যে, এসআইআরের আতঙ্কে তারা নাকি মারা যাচ্ছেন। তবে বিজেপির পাল্টা বক্তব্য যে, শুধু তো পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর হচ্ছে না। ভারতবর্ষের আরও একাধিক রাজ্যে এসআইআর হচ্ছে। সেখানে তো এইভাবে এসআইআরের জন্য মানুষ মারা যাচ্ছে না। কেন পশ্চিমবঙ্গেই এই ঘটনা ঘটছে? আসলে যে এটা তৃণমূলের মিথ্যে রাজনীতি এবং আতঙ্কে পড়েই এসআইআরকে আটকানোর জন্য যে তারা মৃতদেহ নিয়ে রাজনীতি করছে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিরোধীরা। আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবার এক এক মহিলা বিএলওর মৃত্যুর ঘটনায় এসআইআরকে দায়ী করেছেন। আর সেই বিষয়েই প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে তৃণমূল নতুন রোগে আক্রান্ত বলে খোঁচা দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় এসআইআরে একের পর এক মানুষের মৃত্যু নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন। যেখানে এক মহিলা বিএলওর মানসিক চাপ নিতে না পেরে মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করছে তৃণমূল। আর সেই ঘটনাকে হাতিয়ার করেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন তুলেছেন এই এসআইআর প্রক্রিয়া নিয়ে। যেখানে আবারও ২৮ জন মানুষের এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। আর মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্য নিয়েই এসআইআর যে তৃণমূলের একটা আতঙ্কের কারণ এবং তৃণমূল নতুন রোগে আক্রান্ত বলেই খোঁচা দিলেন শুভেন্দু অধিকারী।

এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই তিনি বলেন, “১২ টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে হচ্ছে কোথাও কেউ আত্মহত্যা করছে না। ওনাদের এখানেই আত্মহত্যা নামক এক ব্যামো চেপে বসেছে। এটা তৃণমূলের একটা নতুন রোগ হয়েছে। এসআইআর আতঙ্ক এবং আত্মহত্যা রোগ। কোনো বড় ডাক্তারবাবুর কাছে যান, গিয়ে পরামর্শ করুন, এর কি ওষুধ পাওয়া যায়। সম্পূর্ণ মিথ্যা। এর কোনো সত্যতা নেই। বরঞ্চ পশ্চিমবঙ্গে এই ১৫ বছরে চাকরি না পেয়ে যারা মারা গিয়েছেন, তার জন্য মমতা ব্যানার্জি দায়ী। চা বাগানের যে সমস্ত শ্রমিকরা অনাহারে মারা গিয়েছেন, তার জন্য মমতা ব্যানার্জি দায়ী। বিষমদ খেয়ে যে সমস্ত মানুষ মারা গিয়েছেন, তার জন্য মমতা ব্যানার্জি দায়ী।”