প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
বহু জল্পনা শেষে অবশেষে পশ্চিমবঙ্গে শুরু হয়ে গিয়েছে এসআইআর প্রক্রিয়া। আর সেই এসআইআরের ঘোষণা হতে না হতেই গতকাল সাংবাদিক বৈঠক করে রীতিমত গর্জন তর্জন করতে দেখা গিয়েছে তৃণমূলের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। অনেকেরই প্রশ্ন যে, তড়িঘড়ি এই সাংবাদিক বৈঠকের পেছনে অনেক কারণ রয়েছে। প্রকাশ্যে অনেক বড় বড় কথা বলেছেন অভিষেকবাবু। কিন্তু বাস্তবে আতঙ্কগ্রস্ত হয়েই যে এসআইআরের বিরুদ্ধে তার এই সাংবাদিক বৈঠক, সেই ব্যাপারে দ্বিমত নিয়ে বিরোধীদের মধ্যে। গতকাল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন যে, এসআইআরের পরে ২০২১ এ যে আসন তৃণমূল পেয়েছিল, তার থেকে একটি আসন হলেও তারা বাড়াবে ২০২৬ সালে। শুধু তাই নয়, বিজেপিকে তারা ৫০ এর নীচে নামিয়ে দেবে বলেও চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন তৃণমূল সাংসদ। আর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বক্তব্য নিয়েই পাল্টা খোঁচা দিতে শুরু করেছে বিজেপি।
প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর হওয়ার পর থেকেই তৃণমূলের নেতাদের আতঙ্ক যেন আরও বহুগুণ বেড়ে গিয়েছে। এতদিন তারা হুমকি, হুঁশিয়ারি দিচ্ছিলেন। এতদিন তারা বলতে শুরু করেছিলেন যে, বাংলায় কোনোভাবেই এসআইআর করতে দেওয়া হবে না। কিন্তু মুখেই তাদের বড় বড় ভাষণ। বাস্তবে নির্বাচন কমিশন সেই এসআইআর করে দেখিয়ে দিয়েছে। ইতিমধ্যেই সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। আর গতকাল সেই এসআইআরের আতঙ্কেই যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এত বড় বড় ভাষণ এবং বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়ার চিত্র সামনে এলো, সেই ব্যাপারে সকলেই প্রায় নিশ্চিত। অভিষেকবাবু বলেন, “আপনাদের ক্ষমতা থাকলে আপনারা এসআইআর করার পরে তৃণমূল কংগ্রেসের যা ভোটের আসন ছিল, ২০২১ সালে একটা হলেও বাড়াবো। কমার জায়গা নেই। আর বিজেপিকে ৫০ এ নামাবো। ক্ষমতা থাকলে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করুন। যে কটা আবর্জনা বেঁচে রয়েছে, আপনারা দেখবেন, সব কটাই বঙ্গোপসাগরে বিসর্জন দিয়েছেন বাংলার মানুষ।”
আর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যখন এত আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছেন এসআইআর ঘোষণা হওয়ার সাথে সাথেই, তখন গোটা বিষয়টিকে আতঙ্কের বুলি হিসেবেই দেখতে শুরু করেছে বিজেপি। তাদের বক্তব্য, এখন এই সমস্ত বড় বড় কথা বলা অত্যন্ত স্বাভাবিক। আসলে এসআইআরের আতঙ্কে রীতিমতো ভীত, সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। পরাজয়ের আতঙ্ক থেকেই তারা এই সমস্ত আর্তনাদ করছে। তবে যত সময় যাবে, ততই এই আর্তনাদ আরও বাড়তে শুরু করবে। কারণ তৃণমূলের যে অবৈধ ভোটব্যাঙ্ক, এসআইআরের ফলে সেই ভোটব্যাংক ধ্বংস হয়ে যাবে। আর সেই আতঙ্কেই এত বড় বড় কথা বলছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেই পাল্টা কটাক্ষ পদ্ম শিবিরের।