প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গে শুরু হয়ে গিয়েছে এসআইআর প্রক্রিয়া। আর এসআইআর শুরু হতে না হতেই তৃণমূলের আতঙ্ক যেন আরও দ্বিগুণভাবে বাড়তে শুরু করেছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি নির্বাচন কমিশনকে আক্রমণ করছে। এমনকি একটা ভোটারের নাম বাদ গেলে দিল্লিতে ১ লক্ষ লোক নিয়ে গিয়ে নির্বাচন কমিশনের দপ্তর ঘেরাও করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। তবে বিজেপি এই এসআইআর প্রক্রিয়াকে স্বাগত জানাচ্ছে। তাদের বক্তব্য, এবার কোনোমতেই তৃণমূল ক্ষমতায় আসতে পারবে না। কারণ এসআইআর হলে প্রচুর অবৈধ ভোটারের নাম বাদ যাবে। এতদিন এই অবৈধ ভোটারদের নাম ভোটার লিস্টে ছিল জন্যই তৃণমূল ক্ষমতায় টিকে ছিল। তাদের নাম বাদ গেলে তৃণমূলের বিসর্জন অবশ্যম্ভাবী। তবে সত্যিই যদি বিজেপির এই কথা বাস্তব হয়, তাহলে ২০২৬ এর নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতায় আসবে কারা? এই প্রশ্ন যখন বিভিন্ন মহলে উঁকি মারছে, ঠিক তখনই বড় দাবি করে বসলেন বিজেপি নেতা অর্জুন সিংহ।

ইতিমধ্যেই এসআইআরকে কেন্দ্র করে শাসক-বিরোধী রাজনৈতিক টানাপোড়েন চরমে উঠেছে। তৃণমূল এই এসআইআরের বিরোধিতা করছে, নির্বাচন কমিশনকে আক্রমণ করছে, বিভিন্ন কথা বলছে। অন্যদিকে বিজেপি দাবি করছে, এসআইআর প্রক্রিয়া সবে শুরু হয়েছে। যত সময় যাবে, ততই তৃণমূলের আর্তনাদ আরও বাড়তে শুরু করবে। কারণ অবৈধ ভোটারদের নাম বাদ দিলে তৃণমূল আর ক্ষমতায় আসতে পারবে না। তবে সব থেকে বড় প্রশ্ন হচ্ছে, যদি তৃণমূল এবার পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতায় না আসে, তাহলে কি বিজেপি ক্ষমতায় আসতে পারবে? তাদের কি সেই সাংগঠনিক শক্তি রয়েছে ক্ষমতায় আসার মত? আর এসবের মধ্যেই তৃণমূলের চাপ বাড়িয়ে বড় মন্তব্য করলেন ব্যারাকপুরের প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ।

এদিন এসআইআর নিয়ে বলতে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপিই যে ২০২৬-এর নির্বাচনে ক্ষমতায় আসতে চলেছে, সেই ব্যাপারে ওভার কনফিডেন্ট দেখা যায় অর্জুন সিংহকে। তিনি বলেন, “এই জেলায় ৩৪টা সিটের মধ্যে ডেমোগ্রাফি হিসেবে ২৩ থেকে ২৫ টা সিট বিজেপি পাবে। আর পশ্চিমবঙ্গে ১৬০ থেকে ১৬৫ টা আসন নিয়ে বিজেপি ক্ষমতায় আসবে। আমরা সরকার গঠন করব।”