প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বিরোধীরা বলেন, এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যখনই দেখেন যে, তার পক্ষে অত্যন্ত বিপদ অপেক্ষা করছে, তখনই তিনি যে কোনো একটা গঠনমূলক জিনিসকে এমন একটি বিষয় দিয়ে প্রচার করেন, যাতে মানুষ ভয় পেয়ে যায় এবং তার কথায় সকলে বিশ্বাস করে এবং সেই প্রক্রিয়ায়, যা দেশের গঠনমূলক কাজ, তাতে কেউ সহযোগিতা না করে। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ সহ বেশ কিছু রাজ্যে এসআইআর হচ্ছে। কোথাও থেকে কোনো অশান্তির খবর না পেলেও, একমাত্র যত খবর আসছে, সেটা পশ্চিমবঙ্গ থেকে। কারণ এখানে রাজ্য সরকার এসআইআর প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করা তো দূরের কথা, অবৈধ ভোটারদের রেখে দেওয়ার জন্য সব রকম চেষ্টা এই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস করছে বলেই দাবি বিরোধীদের। বারবার করে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এনআরসির সঙ্গে এসআইআরের কোনো সম্পর্ক না থাকলেও, সামনে এসআইআর করে পেছনে এনআরসি করার চক্রান্ত চলছে বলে দাবি করছেন। আর বারবার মুখ্যমন্ত্রীর এই মিথ্যা দাবিকে খন্ডন করেছে বিজেপি। তবে এবার কোচবিহারের সভা থেকে আরও একবার ফের সেই এসআইআরকে এনআরসি বলে প্রচার করার চেষ্টা করলেন এই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। যার পরিপ্রেক্ষিতে বিরোধীরা বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আতঙ্ক স্পষ্ট করে দিচ্ছে যে, তিনি আর ক্ষমতায় আসতে পারবেন না। আর সেই কারণেই এই ভুল বোঝানোর চেষ্টা।

এসআইআর হওয়ার আগে থেকেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছিলেন যে, কোনোমতেই তিনি নাকি এই প্রক্রিয়া হতে দেবেন না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর হচ্ছে। এসআইআর প্রক্রিয়া চলছে। তবে এই প্রক্রিয়াকে বাধাপ্রাপ্ত করতে সব রকম কৌশল রপ্ত করেছে তৃণমূল বলেই অভিযোগ করা হচ্ছে। প্রত্যেকটি সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী দাবি করছেন, এসআইআর করে পেছন দিক দিয়ে এনআরসি করার চক্রান্ত হচ্ছে। আর আজ কোচবিহারের সভা থেকেও সেই দাবি করেছেন তিনি। আর তার পরিপ্রেক্ষিতেই বিরোধীরা বলছেন যে, মুখ্যমন্ত্রী বুঝতে পেরেছেন, এসআইআরে যেভাবে অবৈধ ভোটারদের নাম বাদ যাচ্ছে, এতদিন যাদেরকে ভোটব্যাঙ্ক হিসেবে কাজে লাগিয়েছিল তৃণমূল, তাদের নাম বাদ যাওয়ার ফলে আর অবৈধ ভোটারদের দিয়ে বৈতরণী পার হওয়া যাবে না। সেই কারণেই মুখ্যমন্ত্রীর এই ধরনের আতঙ্কের বহিঃপ্রকাশ বলেই দাবি করছে বিরোধীরা।

এদিন কোচবিহারের সভায় বক্তব্য রাখেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে তিনি বলেন, “তোমরা এখন হাটি হাটি পা পা করে যাও। আর বাংলাকে ভুলে যাও। যতই চক্রান্ত করো, এসআইআর সামনে, আর পেছনে এনআরসি। এনআরসি মানি না, মানবো না। ডিটেনশন ক্যাম্প হবে না। মানুষ বিতাড়িত হবে না। নিশ্চিন্তে থাকুন।” আর এখানেই বিরোধীদের বক্তব্য যে, এসআইআর তো একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। কেউ বলেনি যে, এনআরসি হবে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী নিজে থেকেই বলছেন। আসলে তিনি এই অবৈধ ভোটব্যাংক এবং বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীদের রক্ষা করতে চাইছেন। আর সেই কারণেই তার এই ধরনের ক্ষমতা হারানোর আগে আর্তনাদ ক্রমশ তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে বলেই দাবি পদ্ম শিবিরের ঘনিষ্ঠ মহলের।