প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এসআইআর নিয়ে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যা খুশি তাই বলতে শুরু করেছেন। পশ্চিমবঙ্গ বাদে অন্যান্য রাজ্যেও এসআইআর হচ্ছে। কিন্তু কোথাও পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের মত এত কেউ রাস্তায় নেমে বিরোধিতা করছে না। স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূল চেষ্টা করছে, এসআইআরের বিরোধিতা করে পশ্চিমবঙ্গের জ্বলন্ত ইস্যুগুলোকে ভুলিয়ে দেওয়ার। আর সেটা খুব ভালো মতই উপলব্ধি করেছে বিজেপি। তাই মুখ্যমন্ত্রী যখন এসআইআরকে স্থগিত করার দাবি জানাচ্ছেন, যখন বলছেন যে, বিজেপির করা সিএএ ক্যাম্পে কেউ যাবেন না, ঠিক তখনই এসব করে যে চতুর্থ বারের জন্য আর ক্ষমতায় আসতে পারবেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তা আরও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে জানিয়ে দিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি।
গতকাল উত্তরবঙ্গে সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী এসআইআরের বিরুদ্ধে একাধিক কথা বলেছেন। যাকে যুক্তি সহকারে পাল্টা খন্ডন করেছে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী এটাও বলেছেন যে, বিজেপির করা সিএএ ক্যাম্পে কেউ যাবেন না। এক্ষেত্রে মানুষকে নাকি বিজেপি ভুল বোঝাচ্ছে বলেও দাবি করেছেন তিনি। তবে মুখ্যমন্ত্রী যে এই এসআইআর হওয়ার কারণে অত্যন্ত আতঙ্কিত হয়ে রয়েছেন, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিরোধীরা। তাই মুখ্যমন্ত্রী এসআইআর থেকে শুরু করে সিএএ নিয়ে মানুষকে যা খুশি তাই বলতে পারেন। কিন্তু এর ফলে মানুষ কোনোদিনই পশ্চিমবঙ্গের অনুন্নয়ন থেকে শুরু করে দুর্নীতি, এই সমস্ত বিষয়কে ভুলে গিয়ে তৃণমূলকে যে আর ক্ষমতায় আনবে না, তা জানিয়ে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর পরিকল্পনায় রীতিমত জল ঢেলে দিলেন শমীক ভট্টাচার্য।
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্য বিজেপির সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। আর সেখানেই তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী যা খুশি বলতে পারেন, যা খুশি করতে পারেন। কিন্তু সিএএ এবং এসআইআরকে ঢাল করে তার সরকারকে চতুর্থবারের জন্য ক্ষমতায় আনতে পারবেন না। ২০২৬ এর নির্বাচন, তৃণমূলের বিসর্জন।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মুখ্যমন্ত্রী এখন একটাই চেষ্টা করছেন যে, এসআইআরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কথা বলে পশ্চিমবঙ্গের যে জ্বলন্ত সমস্যা, যে জ্বলন্ত ইস্যুগুলো রয়েছে, সেগুলোকে ভুলিয়ে দেওয়ার। তবে বিজেপি যে তা ভুলতে দেবে না এবং বাংলার মানুষ যে বাংলার অনুন্নয়ন থেকে শুরু করে দুর্নীতি অপশাসনের বিষয়টি ভুলে গিয়ে তৃণমূলের পাতা ফাঁদে পা দেবে না, তা স্পষ্ট করে দিয়ে শাসকের বিসর্জনের বাদ্যি বাজিয়ে দিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি।