প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এসআইআর হওয়ার আগে সবথেকে বেশি চিৎকার চেঁচামেচি করেছিল এই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের পক্ষ থেকে এমন কথাও বলা হয়েছিল যে, কোনোমতেই এসআইআর হতে দেওয়া যাবে না। পরবর্তীতে পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর চালু হয়েছে। এখন আবার সেই তৃণমূলের পক্ষ থেকেই দাবি করা হচ্ছে, একজন বৈধ ভোটারেরও নাম বাদ গেলে তারা নাকি লণ্ডভণ্ড করে দেবেন। আর যত এসআইআরের গতি বাড়ছে, ততই তৃণমূলের আতঙ্ক যে বাড়ছে, তা নতুন করে বলতে হবে না‌। বিভিন্ন ক্ষেত্রে এসআইআরের ফলে মানুষের মৃত্যু হচ্ছে, এইরকম অনেক যুক্তি দেখিয়ে সেই এসআইআর যাতে স্থগিত করা যায়, তার জন্য নির্বাচন কমিশনে পর্যন্ত চিঠি দিয়েছেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তিনি আতঙ্কিত, এটা সকলে ধরতে পেরে গেছে, অবৈধ ভোটারের নাম বাদ যাওয়ার কারণে তিনি এসআইআরের বিরোধিতা করছেন, এটা সকলে বুঝে গিয়েছে জন্যেই কি এবার বিষয়টি ঘুরিয়ে দিতে চাইছেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? ইতিমধ্যেই সেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধীরা।

এদিন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মালদহে একটি রাজনৈতিক সভা করেন। যেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এসআইআর করে বিজেপি নিজেরাই নিজেদের কবর খুঁড়েছে বলে দাবি করেন তিনি। এমনকি বিহারের মত তারা কোনোমতেই পশ্চিমবঙ্গ দখল করতে পারবে না বলেও আত্মপ্রত্যয়ী মনোভাব পোষণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর মুখ্যমন্ত্রী যখন এই সমস্ত কথা বলছেন, তখন পাল্টা বেশ কিছু যুক্তি সামনে এনে তাকে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিরোধী শিবির।

বিজেপির ঘনিষ্ঠ মহলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এসআইআর একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এফআইআরে কাদের ক্ষতি হবে, কাদের লাভ হবে, সেটা তো সময় বলবে। প্রথম দিন থেকে তো এই এসআইআরের বিরোধিতা করে আসছেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাকে অন্তত বিজেপির চিন্তা করতে হবে না। বিজেপি কিভাবে কি করবে, সেটা বিজেপি বুঝে নেবে। কিন্তু তিনি এসআইআর করে বিজেপি কবর খুড়েছে, এসব বলে কি নিজের ভয়ে কাটানোর চেষ্টা করছেন? আসলে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও খুব ভালো মতই জানেন, এসআইআর হলে অবৈধ ভোটারের নাম বাদ যাবে, যাদের এতদিন ভোটার তালিকায় রেখে দিয়ে তিনি ভোটব্যাংক হিসেবে ব্যবহার করেছিলেন। আর তাতে তার আতঙ্ক এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যে, এখন বিষয়টিকে ঘুরিয়ে দিয়ে মানুষকে ভুল বোঝানোর জন্য, এসআইআর হচ্ছে বিজেপির জন্যই বিপদ বলে যা খুশি তাই বলে যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আসলে তিনি এতটাই আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন যে, বিদায়ের সুর শুনতে পাচ্ছেন। আর সেই কারণেই তার এই ধরনের বক্তব্য বলেই খোঁচা দিচ্ছে বিরোধীরা।