প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এসআইআর একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। কিন্তু কেন বেছে বেছে তৃণমূল কংগ্রেস এই প্রক্রিয়ার এত বিরোধিতা করছে, তা কেউ বুঝতে পারছে না। অনেকে বলছেন, তৃণমূল এই এসআইআর হলে ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না। কারণ তাদের অবৈধ ভোটব্যাংক ধ্বংস হয়ে যাবে। আর তার ফলেই তারা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে এর বিরোধিতা করতে শুরু করেছে। তবে অনেকে আবার বলছেন, এসআইআরের বিরোধিতা করে তৃণমূলের এইভাবে চিৎকার চেঁচামেচি আসলে মূল ইস্যু থেকে গোটা বিষয়কে ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা। কারণ ২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে একাধিক বিষয় রয়েছে। তাই সেই সমস্ত বিষয়কে ধামাচাপা দিতেই তারাই এখন এসআইআর নিয়ে রাস্তায় নামছে বলেই দাবি করছেন একাংশ। আর সেই বিষয় তুলে ধরেই এসআইআরকে তৃণমূল দিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবেই ইস্যু বানানোর চেষ্টা করছে, তা জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।
প্রসঙ্গত, এসআইআরের বিরুদ্ধে প্রথম দিন থেকেই পথে নেমেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর আজ কলকাতায় মিছিল করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বাভাবিকভাবেই পশ্চিমবঙ্গের বাইরেও বেশ কিছু রাজ্যে এসআইআর হচ্ছে। সেখানেও তো বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো রয়েছে। তারা এত চিৎকার চেঁচামেচি না করলেও কেন পশ্চিমবঙ্গে এত বেশি করে এসআইআরের বিরোধিতা করছে এখানকার শাসক দল? তাহলে কি তারা অবৈধ ভোট চলে যাওয়ার ভয়ে এই বিরোধীতা করছে, নাকি পশ্চিমবঙ্গে যে সমস্ত জ্বলন্ত ইস্যু গুলো রয়েছে, তার থেকে নজর ঘোরানোর জন্য তাদের এই চেষ্টা? গোটা বিষয়ে এবার রীতিমতো বোমা ফাটালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।
এদিন এই ব্যাপারে সুকান্তবাবুকে একটি প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, এসআইআরকে সামনের দিকে নিয়ে এসে বাংলার যেগুলো মূল ইস্যু, সেই ইস্যুগুলোকে পেছনের দিকে ঠেলে দেওয়া। আমি আগেও বলেছি, ২৬ হাজার চাকরি চলে যাওয়া, এফডিআইয়ের ক্ষেত্রে গোটা ভারতবর্ষে যখন লক্ষ লক্ষ টাকা হচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গে তখন .61 শতাংশ। একের পর এক ধর্ষণ, নারীরা অসুরক্ষিত। এই সমস্ত জ্বলন্ত সমস্যা থেকে চোখ ঘোরানোর জন্যই এসআইআরকে ওপরে তোলা হচ্ছে। এসআইআরকে ইস্যু বানানো হচ্ছে।”