প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী খুব ভালো মতোই বুঝতে পারছেন যে, এসআইআর হতে চলেছে। এমনকি তৃণমূলের নেতারাও খুব ভালো মত জানেন যে, এসআইআর হলে অনেক অবৈধ ভোটারের নাম বাদ যাবে। আর যাদের ভোটকে কাজে লাগিয়ে এতদিন তৃণমূল ক্ষমতায় টিকে ছিল, সেই অবৈধ বাংলাদেশি থেকে শুরু করে ভুয়ো ভোটারদের নাম বাদ দিলে তৃণমূলের যে ক্ষমতায় থাকা নিয়েই একটা বড় প্রশ্ন উঠে যাবে, তা নিয়ে রীতিমত চিন্তাশীল হয়ে পড়েছে এই রাজ্যের শাসক দল। অন্তত বিরোধীদের পক্ষ থেকে তেমনটাই বলা হচ্ছে। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূল দলের নেতা জনপ্রতিনিধিরা প্রকাশ্য মঞ্চ থেকেই এসআইআরের বিরোধিতা করে বিজেপি নেতাদের শায়েস্তা করার নিদান দিচ্ছেন। যেখানে এসআইআর করবে নির্বাচন কমিশন, সেখানে তৃণমূল এতটাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে যে নির্বাচন কমিশনকে বিজেপির দলদাস বলে আক্রমণ করার পাশাপাশি এবার বিজেপি নেতাদের আটকে রাখার নিদান দিলেন ব্যারাকপুরের তৃণমূল সাংসদ পার্থ ভৌমিক। যাকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে বিতর্ক।
ইতিমধ্যেই এসআইআরকে কেন্দ্র করে বাংলার রাজনৈতিক মহলে পারদ চড়তে শুরু করেছে। বিজেপির দাবি, পশ্চিমবঙ্গে শান্তিপূর্ণ এবং অবাধ নির্বাচনের জন্য এই এসআইআর অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। আর এসআইআর হলে তৃণমূল ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না। তবে তৃণমূল পাল্টা দাবি করছে, এসআইআর করে বৈধ ভোটারদের নাম বাদ দিয়ে বিজেপি ক্ষমতায় আসার চক্রান্ত করছে। আর তার মাঝেই এবার এসআইআরের মধ্যে দিয়ে যদি কোনো বৈধ ভোটারের নাম বাদ যায়, তাহলে বিজেপি নেতাদের আটকে রাখুন বলে মন্তব্য করলেন তৃণমূলের এক হেভিওয়েট সাংসদ।
এদিন বাগদায় বিজয়া সম্মিলনীর একটি মঞ্চে বক্তব্য রাখেন ব্যারাকপুরে তৃণমূল সাংসদ পার্থ ভৌমিক। আর সেখানেই রীতিমত হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, “বিরোধী দলনেতা বলেছে, এসআইআরে সব নাম বাদ দিয়ে দেবে। এটা কারও পৈতৃক সম্পত্তি নয়। যদি কোনো বৈধ ভোটারের নাম বাদ যায়, পাড়ায় পাড়ায় বিজেপি নেতাদের আটকে রাখুন। একটা ভোট অবৈধভাবে কাটলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আগুন জ্বালিয়ে দেবে। নির্বাচন কমিশন বিজেপির পার্টি অফিসে পরিণত হয়েছে। আমরাও দেখব, নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহের কত ক্ষমতা।” আর যেভাবে এসআইআর নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে বিজেপি নেতাদের শায়েস্তা করার নিদান দিলেন এই তৃণমূল সাংসদ, তাতে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। পাশাপাশি তিনি যেভাবে নির্বাচন কমিশনকে রাজনৈতিক ভাবে আক্রমণ করলেন, তার পরিপ্রেক্ষিতেও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।