প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এসআইআরের আসল খেলাটা যে এবার শুরু হতে চলেছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এতদিন এসআইআর নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তরজা চলেছে। আর এনুমারেশন ফর্ম আপলোডের সময়সীমা শেষ হতেই ধীরে ধীরে একের পর এক বিধানসভা থেকে আসতে শুরু করেছে ভয়ংকর ভয়ংকর তথ্য। এতদিন বিরোধীরা দাবি করছিল যে, এসআইআরের ফলে প্রচুর অবৈধ ভোটারের নাম বাদ যাবে। এখনও পর্যন্ত প্রায় ৬০ লাখের কাছাকাছি ভোটারের নাম বাদ গিয়েছে বলেই খবর। আর এই পরিস্থিতিতে ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্র, যেখান থেকে বিধায়ক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সেই বিধানসভা কেন্দ্র সম্পর্কে বড় আপডেট সামনে এলো।
গতকাল এসআইআরের এনুমারেশন ফর্ম আপলোড করার সময়সীমা পেরিয়ে গিয়েছে। এতদিন কত মানুষের নাম বাদ যাবে, তা নিয়ে বিভিন্ন তথ্য আসছিলো। তবে এবার মূল পর্বটা যে শুরু হবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। যেখানে যাদের নামের ক্ষেত্রে সন্দেহ রয়েছে, তাদের শুনানিতে ডাকা হবে। তারপর বিষয়টি আরও পরিষ্কার হয়ে যাবে সকলের কাছে। তবে রাজ্যের বেশ কিছু বিধানসভা কেন্দ্রের দিকে নজর রয়েছে সকলের। যার মধ্যে রয়েছে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজস্ব বিধানসভা কেন্দ্র ভবানীপুর। আর সেখান থেকে যে খবর পাওয়া যাচ্ছে, তা কার্যত চমকে ওঠার মত।
সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই রাজ্যের বেশ কিছু বিধানসভা কেন্দ্রে এসআইআরের প্রাথমিক পর্ব শেষ হওয়ার পর কি পরিস্থিতি রয়েছে, তা সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য শুরু করেছে। যেখানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক, সেই ভবানীপুর থেকেও বড় তথ্য সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে, মমতা ব্যানার্জির নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে এখনও পর্যন্ত ২৪ হাজার ৭৭৩ জন ব্যক্তির ম্যাপিং হয়নি। পাশাপাশি ১৯ হাজার ৪৭১ জন ব্যক্তির এখনও পর্যন্ত খোঁজ পাওয়া যায়নি। আর তার মাঝেই আরও বড় খবর যে, এসআইআর প্রক্রিয়ায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজস্ব বিধানসভা কেন্দ্র, যে কেন্দ্র থেকে তিনি বিধায়ক হয়েছেন, সেই ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে প্রায় ৪৪ হাজারের মত ব্যক্তির নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ হতে পারে। আর এই খবর সামনে আসার পরেই রীতিমত চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। তবে শেষ পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন কি জানায়, কত ভোটারের সংখ্যা বাদ হয় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।