প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এসআইআরের আতঙ্কে যে রীতিমত বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে, তা তাদের নেতা-নেত্রীদের বক্তব্যের মধ্যে দিয়েই স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলের নেতা-নেত্রীরা বক্তব্য রাখতে গিয়ে এসআইআরের মধ্যে দিয়ে যদি কারও নাম বাদ যায়, তাহলে বাংলায় আগুন জ্বলবে বলে হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন। অর্থাৎ তৃণমূল খুব ভালো মতই জানে যে, এসআইআর হলে অবৈধ ভোটারদের নাম বাদ যাবে। আর এই অবৈধ ভোটারদের সাহায্যে তারা এতদিন জিতে এসেছে জন্যেই তাদের নাম বাদ গেলে যে আর তৃণমূল ক্ষমতায় থাকতে পারবে না, তা বুঝতে পেরেই তাদের নেতাদের এই ধরনের হুমকি, হুঁশিয়ারি বলেই দাবি করছে বিরোধীরা। তবে জেল থেকে ফিরে আসার পর অনুব্রত মণ্ডলকে সেভাবে আর আগের মেজাজে দেখতে পাওয়া যায়নি। কিন্তু তৃণমূলের প্রত্যেকটি নেতা যখন এসআইআরের বিরুদ্ধে হুমকি হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন, তখন এবার চুপ থাকতে না পেরে সেই এসআইআর নিয়েই বক্তব্য রেখে হুঁশিয়ারি দিয়ে বসলেন অনুব্রত মণ্ডল। যার ফলে বহুদিন পর আবার তাকে আগের মেজাজে দেখতে পাওয়া গেল বলেই মনে করা হচ্ছে।
বলা বাহুল্য, ইতিমধ্যেই এসআইআরের আতঙ্কে তৃণমূলের বিভিন্ন নেতা নেত্রীরা বিভিন্ন রকম মন্তব্য করছেন। তবে যে অনুব্রত মণ্ডল একসময় কিছু হলেই বিরোধীদের উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারি দিতেন, তিনি হঠাৎ করে কেন চুপ হয়ে গেলেন, তা নিয়ে অনেকের মধ্যেই অনেক গুঞ্জন রয়েছে। তবে অনুব্রত মণ্ডল যে তার মত করেই রয়েছেন, তা আবার স্পষ্ট হয়ে গেল। যেখানে এসআইআরের মধ্যে দিয়ে অনেক নাম বাদ যাবে বলে মনে করা হচ্ছে, সেখানে পাল্টা হুশিয়ারি দিয়ে একজনেরও নাম বাদ দেওয়ার ক্ষমতা নেই বলে দাবি করলেন বীরভূম জেলা তৃণমূলের এই দাপুটে নেতা।
এদিন বীরভূমে তৃণমূলের একটি বিজয়া সম্মেলনের মঞ্চে উপস্থিত হন অনুব্রত মণ্ডল। আর সেখানেই এসআইআর নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে হুঁশিয়ারি দেন তিনি। অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “কারও ক্ষমতা নেই আমাদের বাদ দেয়। আমরা উড়ে এসে জুড়ে বসিনি। আমরা বাংলাদেশ থেকে আসিনি। আমরা বিজেপি থেকে আসিনি। ক্ষমতা নেই বিজেপি সরকারের, ভোটার লিস্ট থেকে বাদ দিয়ে দেবে। সমস্ত মানুষকে আমি একটাই কথা বলছি, শুধু ভোটার লিস্টটা একটু দেখে নিন। এটাই আপনাদের কাছে আমাদের অনুরোধ। বাদবাকিটা আমরা বুঝে নেব।”