প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
বহু চেষ্টা করেও তৃণমূল কংগ্রেস এসআইআর আটকাতে পারেনি। ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গে এই এসআইআর প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। এতদিন এসআইআর শুরু হওয়ার আগে তৃণমূলের পক্ষ থেকে বলা হত যে, একজন ভোটারেরও নাম বাদ দিলে নাকি বাংলায় আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হবে। অনেকে আবার রক্তগঙ্গা বইয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি পর্যন্ত দিয়েছেন। কিন্তু এসআইআর চালু হওয়ার পর আবার দেখা গেল, তৃণমূলের নেতারা কিছুটা শুরু নরম করে ফেলেছেন। তারা এখন আর শুধু ভোটারের কথা উল্লেখ করছেন না। তার আগে যুক্ত করেছেন “বৈধ ভোটার” শব্দটি। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন এসআইআর চালু হওয়ার আগে একজন ভোটারেরও নাম বাদ দেওয়া যাবে না বলে দাবি করতে শুরু করেছিলেন, এসআইআর চালু হওয়ার পর তার দলেরই নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বৈধ ভোটারের নাম বাদ দিলে নির্বাচন কমিশন ঘেরাও হবে বলে যে মন্তব্য করলেন, তাতে তৃণমূলের স্ট্যান্ড পয়েন্ট নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিলেন সুকান্ত মজুমদার।
প্রসঙ্গত, এসআইআর চালু হওয়ার অনেক আগে থেকেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিভিন্ন নেতা নেত্রীরা বিভিন্ন রকম কথা বলতে শুরু করেছিলেন। এমনকি স্বয়ং তৃণমূল নেত্রীর গলাতেও শোনা গিয়েছিল বিরোধীতার সুর। অনেকে বলেছিলেন, একজন ভোটারেরও নাম বাদ দিলে বাংলায় আগুন জ্বলবে। কিন্তু এসআইআর চালু হওয়ার পর তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠকে বলেছেন, বৈধ ভোটারের নাম বাদ গেলে দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের দপ্তর ঘেরাও করা হবে। আর তৃণমূলের এক এক সময় এক এক বক্তব্য নিয়ে এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবস্থান নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।
গতকাল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। আর সেখানে তিনি এসআইআরের বিরুদ্ধে অনেক কথা বলেন। আর তার সেই বক্তব্যকে হাতিয়ার করেই পাল্টা তৃণমূলের অবস্থান নিয়েই কটাক্ষ করেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, “নির্বাচন কমিশন স্পষ্ট করে বলে দিয়েছে, এই এসআইআরের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, বৈধ ভোটারদের ভোটার লিস্টে নাম রাখা এবং যারা অবৈধ ভোটার, তাদের ভোটার লিস্ট থেকে বাদ দেওয়া। আগের তৃণমূল কংগ্রেস নিজেদের স্ট্যান্ড ঠিক করুক। আমার কাছে ভিডিও আছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, ভোটার লিস্ট থেকে একজন ভোটারেরও নাম বাদ গেলে আমরা ছাড়ব না, লন্ডভন্ড করে দেব। আর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কায়দা করে বলছেন, একটিও বৈধ ভোটার বাদ গেলে। তাহলে কোনটা ঠিক?”