প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে এসআইআর প্রক্রিয়া। তবে এসআইআরের কাজ সম্পন্ন করতে প্রধান দায়িত্ব রয়েছে বুথ লেভেল অফিসারদের। তবে তাদের নিরপেক্ষতা নিয়ে মাঝেমধ্যেই প্রশ্ন তুলতে দেখা যাচ্ছে বিজেপিকে। কেননা বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, অনেক জায়গাতেই বিএলওরা নিরপেক্ষতা লঙ্ঘন করে তৃণমূলের চাপের কাছে নতি স্বীকার করতে বাধ্য হচ্ছেন। এমনকি তৃণমূলের কথা মত তারা কাজ করছেন। আর এসবের মধ্যেই যে তথ্য সামনে উঠে এলো, তাতে প্রশ্ন উঠছে যে, পশ্চিমবঙ্গে কি আদৌ সঠিকভাবে হচ্ছে এসআইআর প্রক্রিয়া?
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই বিএলওরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ফর্ম বিতরণ করার প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছেন। তবে অনেক জায়গাতেই প্রশ্ন উঠছে যে, তারা সঠিকভাবে কাজ করছে না, তৃণমূলের কথামত কাজ করছেন। আর এসবের মধ্যেই কোলাঘাট থেকে এক ভয়ঙ্কর চিত্র সামনে এলো। যেখানে অভিযোগ উঠেছে যে, যিনি বিএলও হিসেবে রয়েছেন, তিনিই আবার তৃণমূলের বুথ লেভেল এজেন্ট। স্বাভাবিক ভাবেই একজন সক্রিয় তৃণমূলের কর্মী হয়ে কি করে তিনি বুথ লেভেল অফিসারের দায়িত্ব পালন করছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধীরা।
জানা গিয়েছে, কোলাঘাটের খন্যাডিহি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪০ নম্বর বুথের বিএলওর দায়িত্বে রয়েছেন প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক শীতল মন্ডল। তবে বিরোধীদের অভিযোগ, তিনি তৃণমূলের বিএলএ টু এর তালিকায় রয়েছেন। স্বাভাবিক ভাবেই একজন শাসক দলের সক্রিয় সদস্য হয়ে কি করে তিনি বুথ লেভেল অফিসারের দায়িত্ব পালন করছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে। এমনিতেই তো এই রাজ্যের বুকে যারা রয়েছেন, তারা তৃণমূলের চাপের কাছে মাথা নত করে অনেক ক্ষেত্রে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন বলেই অভিযোগ করছে বিজেপি। আর তার মধ্যেই আবার তৃণমূলের সক্রিয় সদস্য বুথ লেভেল অফিসারের দায়িত্ব পালন করায় তার নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিডিওর কাছে অভিযোগ জানিয়েছে গেরুয়া শিবির। স্বাভাবিকভাবেই এবার বিজেপির এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিএলও শীতল মন্ডলের বিরুদ্ধে কমিশনের পক্ষ থেকে কোনো কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।