প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ সহ দেশের ১২ টি রাজ্যে চলছে এসআইআর প্রক্রিয়া। তৃণমূলের পক্ষ থেকে এর বিরোধিতা করা হচ্ছে। যার ফলে বিজেপি পাল্টা দাবি করছে যে, এসআইআরের ফলে অবৈধ ভোটারদের নাম বাদ যাবে। মূলত, বাংলাদেশী রোহিঙ্গা এবং অনুপ্রবেশ কারীদের নাম এতদিন এই ভোটার তালিকায় ছিলো। আর তৃণমূল এদেরকে কাজে লাগিয়েই ভোট বৈতরণী পার হয়েছে। এসআইআর হলে এদের নাম বাদ যাওয়ার আতঙ্কেই তৃণমূল এই প্রক্রিয়ার বিরোধিতা করছে। তবে যারা ভারতীয় মুসলিম, তারাও অনেকে চিন্তিত রয়েছেন যে, তাহলে কি তাদের নামও ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে? কারণ তৃণমূল যেভাবে প্রচার করছে গোটা বিষয়টি নিয়ে, তাতে তারা ভারতীয় মুসলিমদেরকেও বিজেপি সম্পর্কে ভুল বোঝাতে শুরু করেছে বলেই অভিযোগ। আর সেই জায়গা থেকেই এসআইআর সম্পর্কে বলতে গিয়ে ভারতীয় মুসলিমদের বড় বার্তা দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

বর্তমানে রাজ্য রাজনীতি সব থেকে বেশি সরগরম রয়েছে, এসআইআরকে কেন্দ্র করে। প্রতিনিয়ত বিভিন্ন সভা থেকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কথা বলা হচ্ছে। তবে এসআইআর যেখানে একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া, যেখানে একটি নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর প্রত্যেকবার এই প্রক্রিয়া হয়ে থাকে। সেখানে কেন এর বিরোধিতা করছে তৃণমূল, তা বুঝে পাচ্ছে না বিরোধীরা‌। তাদের একটাই বক্তব্য যে, এসআইআর হলে তো তৃণমূলের চালাকি ধরা পড়ে যাবে। এতদিন ভোটার তালিকায় যে সমস্ত অবৈধ ভোটার, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী, মৃত ভোটারদের নাম রেখে তৃণমূল অবৈধ ভোট দিয়ে এসেছে, তা বন্ধ হবে। আর সেই কারণেই তারা ভারতীয় মুসলমানদের ভয় দেখাতে শুরু করেছে যে, তাদের নামও বাদ যাওয়ার চক্রান্ত করা হচ্ছে। কিন্তু তৃণমূলের সেই মিথ্যা তথ্যের বিরুদ্ধে প্রত্যেকটি সভা থেকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা দাবি করছেন মুসলমানরা তাদের ভোট না দিলেও, যারা ভারতীয়, এসআইআর হলেও তাদের কোনো চিন্তার কারণ নেই। আর এবার সেই কথা তুলে ধরেই আরও একবার ভারতীয় রাষ্ট্রবাদী মুসলিমদের আশ্বস্ত করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

এদিন হুমায়ুন কবীরকে নিয়ে শুভেন্দুবাবুকে একটি প্রশ্ন করা হয়। আর সেই ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে এসআইআর প্রক্রিয়ার বিষয়টি উত্থাপন করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, “সাধারণ মানুষের শান্তি, নিরাপত্তা রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের সবার। আর আরএসআইআর নিয়ে আমাদের যে বক্তব্য, সেটা বারেবারে দেখেছেন যে, মুসলিমরা আমাদের ভোট দিচ্ছে না, দেয় না। আমরা তাদের ভোট চাই, কিন্তু পাই না। তবুও আমরা বারেবারে বলেছি যে, ভারতীয় নাগরিক, সে হিন্দু হোক, মুসলমান হোক, সকলের নাম ভোটার তালিকায় থাকা উচিত।”