প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
তৃণমূল কংগ্রেস এসআইআর হওয়ার পর থেকেই সোচ্চার হতে শুরু করেছে। প্রথমে তারা জানিয়ে দিয়েছিল যে, কোনোমতেই নাকি এসআইআর হতে দেবে না। পরবর্তীতে এসআইআর হওয়ার পর তারা এখন বলতে শুরু করেছে যে, একজনও বৈধ ভোটারের নাম বাদ দিলে নাকি সব লন্ডভন্ড করে দেওয়া হবে। যার ফলে বিরোধীরা বলছেন যে, অবৈধ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ভোট নিয়েই এতদিন ক্ষমতায় রয়েছে তৃণমূল। ফলে তাদের নাম বাদ গেলে তারা যে ক্ষমতায় আসবে না, তা বুঝেই তাদের এই চিৎকার চেঁচামেচি। আর এসবের মধ্যেই আবার কলকাতা পৌরসভার মহানাগরিক তথা রাজ্যের মন্ত্রী ববি হাকিম, যিনি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মন্তব্য করে খবরের শিরোনামে আসেন, তিনি এসআইআর সম্পর্কে একাধিক বিষয়ে সোচ্চার হয়েছেন। আর সেই ব্যাপারেই এবার পাল্টা তাকে খোঁচা দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
কলকাতা পৌরসভার মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী ববি হাকিমকে কলকাতার বর্তমান পরিস্থিতি এবং জনবিন্যাস পাল্টে যাওয়া নিয়ে মাঝেমধ্যেই খোঁচা দেয় বিরোধীরা। মাঝেমধ্যেই বিজেপি নেতাদের পক্ষ থেকে বলা হয় যে, কলকাতাকে মিনি পাকিস্তান বানিয়ে দেওয়ার একটা চেষ্টা চলছে। অবৈধ বাংলাদেশিদের আঁতুড়ঘর বানিয়ে দেওয়া হয়েছে শহরকে। আর বর্তমানে যখন এসআইআর হচ্ছে, যখন সেই সমস্ত ভুয়ো ভোটার, অবৈধ বাংলাদেশিদের নাম বাদ যাবে, যখন সীমান্তে সেই সমস্ত বাংলাদেশীরা ভিড় করছেন আবার ওপারে ফিরে যাওয়ার জন্য, তাতে কি তাদের ভোটার তালিকায় প্রভাব পড়বে জন্যেই এখন এসআইআরের বিরুদ্ধে এত আপত্তি তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের? বিরোধীদের পক্ষ থেকে যখন এই প্রশ্ন তোলা হচ্ছে, ঠিক তখনই ববি হাকিম দাবি করছেন, এসআইআর উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে হচ্ছে। বিভিন্ন ব্লক উধাও হয়ে যাচ্ছে। যারা গত লোকসভা নির্বাচনে ভোট দিয়েছিলেন, তারাও এবার ফর্ম পাননি। আর ববি হাকিমের এই যন্ত্রনা কেন, এবার সেই ব্যাপারে বড় কারণ সামনে আনলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
এদিন এসআইআরের বিরুদ্ধে আবার সোচ্চার হন কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী ববি হাকিম। আর তার সেই বক্তব্য নিয়েই শুভেন্দু অধিকারীকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। আর সেই ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে পাল্টা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “আসলে বুকে খুব ব্যথা হচ্ছে। ফুফু, বুবু, খালা, চাচা, চাচি, ৩ টা বউ, ১৪ টা বাচ্চা, এদের সব নাম কেটে যাচ্ছে তো। তাই ওনার বুকে ব্যথা হচ্ছে।”