প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এসআইআর হওয়ার আগে নানা কথা বলেছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অনেকেই বলতে শুরু করেছিলেন যে, এসআইআর কোনোমতেই হতে দেওয়া যাবে না। এমনকি এসআইআরে কোনো ভোটারের নাম বাদ গেলে তারা বাংলায় আগুন জ্বালিয়ে দেবেন বলেও অনেক তৃণমূল নেতার মন্তব্য সামনে এসেছিল। তবে তৃণমূলের এই সমস্ত হুমকি, হুঁশিয়ারিকে যে ভারতবর্ষের সংবিধান এবং নির্বাচন কমিশন পাত্তা দেয় না, তা এসআইআর প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার মধ্যে দিয়েই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। এমনকি একজন ভোটারেরও নাম বাদ গেলে বাংলায় আগুন জ্বলবে বলে যারা কিছুদিন আগে মন্তব্য করেছিলেন, তারা এখন কিছুটা সুর নরম করে বলতে শুরু করেছেন, বৈধ ভোটারের নাম বাদ গেলে দিল্লি ঘেরাও করা হবে। আর তৃণমূলের এই চেঁচামেচি এখন কমে যাওয়াতে গোটা বিষয় নিয়ে শাসক দলকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
বলা বাহুল্য, এসআইআরের চাপ সামলাতে না পেরে এখন তৃণমূলের পক্ষ থেকে আতঙ্ক যে ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে, তা বলাই যায়। পানিহাটিতে প্রদীপ করের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে তৃণমূল এখন বিভিন্ন কথা বলতে শুরু করেছে। আর সেই ব্যাপারে প্রশ্ন করতেই রাজ্যের শাসক দলকে মিথ্যাচার করা হচ্ছে বলে কটাক্ষ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুধু তাই নয়, যারা কিছুদিন আগে পর্যন্ত এসআইআর হতে দেব না বলে মন্তব্য করেছিলেন, তাদের কোনো বাধাই যে শেষ পর্যন্ত কাজে দেয়নি এবং তারা যতই চেঁচামেচি করুক, তাদের এই সমস্ত চিৎকার যে বৃথা, তা স্পষ্ট করে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “এরা বলছিল না কয়দিন আগে, এসআইআর করতে দেব না, ঘেরাও হো জায়েগা, আন্দোলন হো জায়েগা। পিসি এবং ভাইপো দুটোই বলছিল। বড়টা এবং ছোটটা দুটোই বলছিল। এসআইআরও হবে। বাংলাদেশ অনুপ্রবেশকারী মুসলিমদের নামও বাদ যাবে।”