প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে এসআইআর নিয়ে রীতিমত তুলকালাম পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। তৃণমূল কংগ্রেস কার্যত ঐক্যবদ্ধভাবে এই এসআইআরের বিরোধিতা করছে। এমনকি আগামী দিনে গোটা বিষয়ের ওপর নজরদারি রাখার পাশাপাশি কি কি কর্মসূচি নেওয়া যায়, তা নিয়ে রূপরেখা স্থাপন করছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। স্বাভাবিকভাবেই এইরকম একটি পরিস্থিতিতে যেখানে তৃণমূল দলের ঐক্যবদ্ধ থাকার কথা, সেখানে গুরুত্বপূর্ণ জেলার কোর কমিটির বৈঠকে সকলে উপস্থিত থাকলেও, অনুপস্থিত থাকতে দেখা গেল বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা সেই কোর কমিটির অন্যতম সদস্য কাজল শেখকে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে যে, তাহলে কি অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে এখনও দ্বন্দ্ব মেটেনি কাজলবাবুর?
প্রসঙ্গত, বীরভূম জেলায় বর্তমানে তৃণমূলের একটি কোর কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সেই কোর কমিটি বৈঠক করে। গতকাল ছিল সেই কোর কমিটির বৈঠক। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে সেই বৈঠকে অনুপস্থিত থাকতে দেখা গেল বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখকে। আর এখানেই তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। কেন হঠাৎ করে কাজল শেখ এই বৈঠকে অনুপস্থিত? তাহলে কি অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে প্রকাশ্যে এক মঞ্চে বসলেও বাস্তবে যথেষ্ট বনিবনার অভাব রয়েছে কাজল শেখের। এখনও পর্যন্ত কি দুজনের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতি হয়নি? সেই কারণেই কি এই কোর কমিটির বৈঠক এড়িয়ে গেলেন বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি? অনেকে বলছেন, এসআইআর আবহের মধ্যেই এই এসআইআর নিয়ে কাজল শেখ এবং অনুব্রত মণ্ডলের দুই পৃথক পৃথক সুর সামনে এসেছিল। আর এবার সেই কোর কমিটির বৈঠকে অনুব্রত মণ্ডল উপস্থিত থাকলেও, কাজল শেখের অনুপস্থিতি বুঝিয়ে দিলো যে, বীরভূম জেলায় তৃণমূল ঐক্যবদ্ধ নয় বলেই মনে করছেন একাংশ।
কেন তিনি এই বৈঠকে অনুপস্থিত? এদিন সেই ব্যাপারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এক অন্য কথা বলে বসেন কাজল শেখ। তিনি বলেন, “একটি খেলার অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা ছিল। এটা আমার পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি ছিল। কোর কমিটির যে মিটিং, সেটা দুদিন আগে জানানো হয়েছে। হঠাৎ দেখলাম, মেসেজে জানানো হয়েছে। কিন্তু এটা আমার পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি ছিলো। এটাকে অবহেলা করে, আমি কোর কমিটির মিটিংয়ে যেতে পারি না।” অর্থাৎ দলের কোর কমিটির মিটিংয়ের থেকেও যে তার কাছে অন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ, তা বুঝিয়ে দিয়ে কাজল শেখ যে মন্তব্য করলেন, তাতেই স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে যে, বীরভূম জেলায় তৃণমূলের মধ্যে এখনও পর্যন্ত যথেষ্ট ফাটল রয়েছে। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।