প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- অপারেশন সিঁদুর চালিয়ে পাকিস্তানকে জবাব দেওয়ার পরেই বাংলাদেশের বিরুদ্ধেও এরকম কিছু একটা কড়া পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। এমনটাই আওয়াজ উঠেছিল গোটা ভারতের পক্ষ থেকে। তবে বাংলাদেশের মত ছোট দেশের বিরুদ্ধে কোনো অ্যাকশন নিয়ে ছুঁচো মেরে হাত গন্ধ করার মত পরিস্থিতি আসেনি বলেই জানিয়ে দিয়েছিলেন ভারত সরকারের ঘনিষ্ঠ মহল। তবে এবার সেই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যে পদক্ষেপ নিতে চলেছে নরেন্দ্র মোদী এবং তার সরকার, তাতে কার্যত নাকানি চোবানি খাবে সেই বাংলাদেশ।
জানা গিয়েছে, বর্তমানে প্রায় আড়াই হাজারের বেশি বাংলাদেশি ভারতে অবৈধভাবে বাস করছে। আর এবার তাদের নিয়েই কড়া প্রতিক্রিয়া দিল ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। যেখানে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, বিদেশীরা যেভাবে এদেশে অবৈধভাবে বাস করছেন, তাতে এবার তাদের বিরুদ্ধে আইন মেনে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এমনকি যে সমস্ত বাংলাদেশিরা এদেশে রয়েছেন, তাদেরকেও ফেরত পাঠানোর কাজ শুরু হবে। বলা বাহুল্য, সম্প্রতি ১০৯ জন বাংলাদেশী নাগরিককে তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে বহু বাংলাদেশকে ধরে তাদের নিজেদের দেশে ফেরত পাঠানোর কাজ শুরু করেছে ভারত।
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রনধীর জয়সওয়াল। তিনি বলেন, “বিদেশীরা অবৈধভাবে এদেশে বাস করছেন। সেটা বাংলাদেশী হোন বা অন্য দেশের নাগরিক, আইন মেনেই পদক্ষেপ করা হবে। তাদের বহিষ্কার করা হবে। তাদের কাছে বাংলাদেশীদের যে তালিকা রয়েছে, তাদের ফেরত পাঠানো হবে। ২০২০ সাল থেকে ওই অভিবাসীদের যাচাই প্রক্রিয়া বাকি রয়ে গিয়েছে। এদের অনেকেই এদেশে জেল খেটেছেন। কিন্তু পাঁচ বছর কেটে গিয়েছে। তাই এবার বাংলাদেশ প্রশাসনের কাছে আবেদন করা হয়েছে, যাতে তাদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যায়।”
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকাই বাংলাদেশের চিরাচরিত অভ্যাস। আর সেই বাংলাদেশ ভারতের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করলেও, এবার ভারত তাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নিতে শুরু করলো। ঘুর পথে ভারতের মাটিতে থাকা-খাওয়া অবৈধ বাংলাদেশিদের এবার তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর কাজ শুরু করে দিলো নরেন্দ্র মোদীর সরকার। আর ভারত সরকারের এই পদক্ষেপে রীতিমত নাস্তানাবুদ হতে হবে বাংলাদেশকে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।