প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বুঝে গিয়েছেন যে, চাকরি দিতে গেলে একটা মোটা অংকের টাকা বেরিয়ে যাবে। তার বদলে যদি তিনি ভোটব্যাংকের রাজনীতি করে প্রত্যেকটি পরিবারে কিছু কিছু করে ভাতা, ভর্তুকি দিয়ে যান, তাহলেই তিনি প্রত্যেকটি নির্বাচনী বৈতরণী খুব সহজে পার হয়ে যাবেন। তাই দীর্ঘদিন ধরেই এই রাজ্যে ভাতা, ভর্তুকির রাজনীতি করে আসছে বর্তমান সরকার বলেই অভিযোগ বিরোধীদের। আর সেই ঘরে ঘরে কিছু সামান্য টাকা দিয়ে মা, বোনেদের ভুলিয়ে বেকার যুবকদের যে সর্বনাশ তৃণমূল সরকার করেছে, তাতে বিরক্ত গোটা রাজ্যবাসী। এখন দিকে দিকে আওয়াজ উঠেছে যে, তারা এই ভাতা চান না। তারা তাদের ঘরের শিক্ষিত ছেলে মেয়ের চাকরি এবং কর্মসংস্থান চান। ইতিমধ্যেই এসএসসি আবার আদালতের নির্দেশে নতুন করে পরীক্ষা নিয়েছে। তবে ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া চলার সময় বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ উঠছে যে, অনেক যোগ্য চাকরিহারা শিক্ষকরা ডাক পাননি। এমনকি যারা নতুন পরীক্ষা দিয়েছিলেন, যারা পুরো নম্বর পেয়েছেন, তার পরেও তাদেরকে ইন্টারভিউয়ে ডাকা হয়নি। স্বাভাবিকভাবেই সেই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আবার একটা অস্বচ্ছতার প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তবে স্বচ্ছ, অস্বচ্ছ অনেক পরের কথা। মমতা ব্যানার্জি এবং তার সরকারের আমলে চাকরিই হবে না বলে জানিয়ে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

এই রাজ্যে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে যে সমস্ত ইস্যু নিয়ে মাঝেমধ্যেই আন্দোলনের নামে বিরোধীরা, তার মধ্যে অন্যতম নিয়োগ দুর্নীতি। ইতিমধ্যেই এই নিয়োগ দুর্নীতিতে অনেক বড় বড় মাথারা গ্রেপ্তার হয়ে জেলে রয়েছেন। অনেকে আবার ছাড়া পেয়ে গিয়েছেন। তবে এবার যখন এসএসসি নতুন করে পরীক্ষা নিয়েছে, তখন সকলেই আশা করেছিলেন যে, এবার অন্তত স্বচ্ছ নিয়োগ হবে। কিন্তু বিভিন্ন মহলে যে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে, তাতে সেই স্বচ্ছতা সহকারে নিয়োগ যে পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল সরকারের আমলে আর হবে না, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই তিনি বলেন, “চাকরি অসম্ভব। স্বচ্ছ, অস্বচ্ছ পরের কথা। ইনি তোষণ করবেন, আর ভাতা দেবেন। ১০০০ টাকায় কি হয়, প্রশ্ন করুন। ৩৪৯ টাকায় রিচার্জ লাগে।”