প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার পাল্টা অপারেশন সিঁদুর চালিয়ে পাকিস্তানের কোমর ভেঙে দিয়েছে ভারত। পরবর্তীতে বিরোধীদের পক্ষ থেকে ভারতের এই প্রত্যাঘাত নিয়ে অনেকে সংশয় প্রকাশ করলেও, যারা সংশয় প্রকাশ করেছেন, তারাই ভারতবাসীর প্রশ্নের মুখে পড়েছেন। তবে বিরোধীরা ভেবেছিল যে, নরেন্দ্র মোদী এবং তার সরকারের হয়ত ক্ষমতা নেই, সংসদে এই বিষয়ে আলোচনা করার। কিন্তু তাদের যে বুকের পাটা আছে এই অপারেশন সিঁদুর নিয়ে আলোচনা করার মত, তা দিনের আলোর মত পরিষ্কার হয়ে গেল। যেখানে সংসদে আগামী সোমবার অপারেশন সিঁদুর নিয়ে আলোচনা হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। আর সেই খবর সামনে আসতেই রীতিমত দিশেহারা হয়ে পড়েছে বিরোধী জোট ইন্ডির নেতা নেত্রীরা।

বলা বাহুল্য, এতদিন বিরোধীরা এমন ভাব দেখাতে শুরু করেছিলেন, যেন কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতাই নেই এই বিষয়ে আলোচনা করার। কিন্তু এবার যেভাবে সেই বিষয়ে আলোচনার ব্যাপারে খবর সামনে এলো, তাতে বিরোধীদের মধ্যেই এখন চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে যে, তারা কি করে এই গোটা বিষয়টি মোকাবিলা করবে! কেননা খবর পাওয়া যাচ্ছে যে, আগামী সোমবার অপারেশন সিঁদুর নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে সংসদে। লোকসভা এবং রাজ্যসভায় মোট ১৬ ঘন্টা সময় বরাদ্দ করা হবে। যেখানে লোকসভায় এই অপারেশন সিঁদুর নিয়ে আলোচনা শুরু করবেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় বিদেশ মন্ত্রীও এর ওপরে বক্তব্য রাখবেন। শুধু তাই নয়, এই আলোচনায় অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীরও।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অপারেশন সিদুর নিয়ে সেভাবে বিরোধীদের পক্ষ থেকে কেউ প্রশ্ন না তুললেও, অনেক বিরোধী দলের নেতা এবং সাংসদরা এমন কিছু মন্তব্য করেছিলেন, যা নিয়ে তৈরি হয়েছিল বিতর্ক। দেশের মানুষ পাকিস্তানকে যেভাবে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে জবাব দেওয়া হয়েছে, তাকে সাধুবাদ জানিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরেও বিরোধীরা শুধুমাত্র বিরোধিতা করার জন্য বিভিন্ন প্রশ্ন তুলে দিয়েছিলেন। তারা দাবি করেছিলেন যে, অপারেশন সিঁদুর নিয়ে যাতে সংসদে আলোচনা হয়। বিরোধীরা ভেবেছিল যে, কেন্দ্রীয় সরকার এই আলোচনা করার মত সাহস দেখাবে না, আর তখন তারা আরও বেশি করে কেন্দ্রীয় সরকারকে চেপে ধরতে পারবে। কিন্তু কেন্দ্র এবার যে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিলো, যেভাবে সংসদে এই অপারেশন সিঁদুর নিয়ে আলোচনা করার খবর সামনে চলে এলো, তাতে বিরোধী জোট ইন্ডিই মুখ থুবড়ে পড়তে চলেছে বলেই মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।