প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- পশ্চিমবঙ্গে ইতিমধ্যেই এসআইআরের ফর্ম আপলোড করার সময় সময় শেষ হয়ে গিয়েছে। গতকাল রাত ১২ টা পর্যন্তই শেষ সময়সীমা ছিল। কিন্তু গতকাল কৃষ্ণনগরের সভা থেকে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছিলেন, তিনি নাকি এসআইআরের ফর্ম এখনও পর্যন্ত জমা দেননি। তবে বাইরে তিনি যে কথাই বলুন না কেন, মানুষকে যে অন্ধকারে রেখে তিনি যে নিজের কাজটা ঠিক মতই করে নিয়েছেন, সেই সম্পর্কে পাওয়া গেল ভয়ংকর তথ্য।
ইতিমধ্যেই এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অতীতে একবার দাবি করেছিলেন, তিনি রাজ্যের সমস্ত মানুষ এসআইআরের ফর্ম জমা না দিলে তিনি ফর্ম জমা দেবেন না। অনেকদিন আগেই তার বাড়িতে ফর্ম পৌঁছে গিয়েছে। কিন্তু তিনি বলেছিলেন যে, তিনি নাকি ফর্ম ফিলাপ করেননি। তবে মুখে যাই বলুন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, গতকাল সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই তিনি তার ফর্ম জমা করেছেন বলেই খবর পাওয়া যাচ্ছে। আর তার পরিপ্রেক্ষিতেই বিরোধীরা কটাক্ষ করে বলছেন, এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সব সময় যে মিথ্যাচার করেন, আরও একবার তার মিথ্যাচারের পর্দা ফাঁস হয়ে গেল। তিনি মানুষের সামনে দেখাচ্ছেন, তিনি এসআইআর বিরোধী। কিন্তু যে ফর্ম তিনি ফিলাপ করবেন না বলে জেদ ধরে বসেছিলেন, শেষ পর্যন্ত সেই ফর্ম তলায় তলায় ফিলাপ করে নিলেন তিনি। আর বিশেষ সূত্র মারফত পাওয়া এই খবরকে কেন্দ্র করেই নানা মহলে গুঞ্জন তৈরি হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি এই তথ্য সত্যি হয়, তাহলে তিনি মুখে এসআইআরের যতই বিরোধিতা করুন, তিনি যে নিয়ম পালন করছেন তলায় তলায়, তা স্পষ্ট হয়ে যাবে। পাশাপাশি আরও একটা জিনিস বিরোধীরা প্রচার করতে শুরু করবে যে, এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নিজে ফর্ম ফিলাপ করে রাজ্যের মানুষকে এসআইআরের বিরোধী করে তাদের বিপদ ডেকে আনছেন। আর যদি তিনি সত্যিই এই ফর্ম ফিলাপ না করেন, তাহলে তিনি যে আইন মানছেন না, সেই বিষয়টিও স্পষ্ট হয়ে যাবে। ফলে মুখ্যমন্ত্রীর দুই দিক থেকেই উভয় সংকট বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।