প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যে যেখানেই অত্যাচার হয়, যেখানেই শাসকের দ্বারা সাধারণ মানুষ অত্যাচারিত হন, সেখানেই পৌঁছে যান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। প্রতিনিয়ত মিটিং, মিছিল প্রতিবাদ কর্মসূচিতে শামিল হতে দেখা যায় তাকে। সামনেই পুজো। হাতে আর কয়দিন বাকি। তার আগেই আজ জলমগ্ন পরিস্থিতি শহর কলকাতায়। আগেভাগে আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস থাকা সত্ত্বেও কেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা সরকার এবং প্রশাসন নেয়নি, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা। আর সাংবাদিক বৈঠকে পুজো যেমন চলবে, ঠিক তেমনই কলকাতায় এই ভয়াবহ দুর্যোগ এবং যে বিপর্যয় হয়েছে, তা নিয়েও তারা প্রতিবাদ কর্মসূচি গ্রহণ করবেন বলে জানিয়ে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। অর্থাৎ কোনোভাবেই দায় এড়িয়ে যে পার পাবে না এই রাজ্যের প্রশাসন এবং মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী, তা শুভেন্দু অধিকারীর এই বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে স্পষ্ট বলেই মনে করছেন একাংশ।

আজ জলমগ্ন কলকাতা এবং তা নিয়ে সরকারের ভূমিকা এবং কলকাতা পৌরসভার ভূমিকাকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কোলাঘাট থেকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে গোটা বিষয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে দায়ী করেন তিনি। যেভাবে একের পর এক মানুষ বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মারা গিয়েছে তা নিয়েও পৌরসভা এবং সরকারের ভূমিকাকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। সামনেই পুজো। তার আগে যেভাবে কলকাতা জলের তলায় চলে গিয়েছে, তার জন্য এই অপদার্থ রাজ্য সরকার এবং কলকাতা পৌরসভা দায়ী বলে দাবি করেন তিনি। তবে এখানেই থেমে থাকেননি শুভেন্দুবাবু। অতীতেও যেমন এই রাজ্যের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ইস্যুকে হাতিয়ার করে তিনি প্রতিবাদ কর্মসূচিতে শামিল হয়েছিলেন, ঠিক তেমনই পুজোর আগে এইভাবে কলকাতায় যে বিপর্যয় হয়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতেও যে প্রতিবাদ চলবে এবং এই ইস্যু যে ছাড়া হবে না, তা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “এর সমস্ত দায় মুখ্যমন্ত্রীর। উনি ১৪ বছর 6 মাস আছেন। খেলা, মেলা, ভাতা, মদের দোকান এই সমস্ত করে বাংলাকে শেষ করে দিয়েছেন। বড় বড় কথা বলছেন? এটা ছাড়া হবে না। পুজোও চলবে। সাথে সাথে প্রতিবাদ হবে।” অর্থাৎ যেভাবে পুজোর আগে গোটা কলকাতার শহর জলের তলায় চলে গিয়েছে, যেভাবে পরিস্থিতি সামলাতে ব্যর্থ হয়েছে কলকাতা পৌরসভা এবং রাজ্য প্রশাসন, তা নিয়ে যে আরও বড় প্রতিবাদ হবে, তা স্পষ্ট হয়ে গেল শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্যে। আর যদি নিজের কথামত অন্যান্য কর্মসূচির মত এই কর্মসূচিও সংগঠিত করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা, তাহলে কলকাতার বুকে ব্যাপক চাপে পড়তে হবে শাসক শিবিরকে। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।