প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
দিল্লি পুলিশের অনুমতি না নিয়ে আজ সংসদ ভবনের বাইরে থেকে বিরোধী জোট ইন্ডির সাংসদরা একত্রিত হয়ে নির্বাচন কমিশন পর্যন্ত যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু আইন অনুযায়ী পুলিশ মাঝ পথেই তাদের বাধা দিয়েছে। আর তারপরেই উত্তাল হয়ে উঠেছে পরিস্থিতি। যেখানে একেবারে ব্যারিকেডের ওপরে উঠে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন ইন্ডি জোটের সাংসদরা। যার ফলে বিরোধী দলের জনপ্রতিনিধিদের এই কাণ্ডজ্ঞানহীন কর্মকাণ্ড নিয়ে খোচা দিতে ছাড়ছে না গেরুয়া শিবির।

বলা বাহুল্য, এদিন সংসদ ভবনের বাইরে মকরদ্বারে জমায়েত শুরু করেন বিরোধী জোট ইন্ডির সাংসদরা। রাহুল গান্ধী থেকে শুরু করে অখিলেশ যাদব সহ অনেকেই সেখানে উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন তৃণমূলের সাংসদরাও। তবে বিরোধী দলের সাংসদরা একত্রিত হয়ে মিছিল কিছুটা দূর এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরেই পুলিশ বাধা দেয়। আর তারপরেই শুরু হয় হট্টগোল। যেখানে পুলিশের ব্যারিকেড টপকে যাওয়ার চেষ্টা করেন তৃণমূলের মহিলা সাংসদরা। যার ফলে পরিস্থিতি আরো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।

জানা গিয়েছে, এদিন মিছিল শুরু হওয়ার পর পুলিশ ব্যারিকেট করে বিরোধী সাংসদদের বাধা দেয়। আর তারপরেই ব্যারিকেড টপকে অন্য প্রান্তে চলে যান সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব। একইভাবে ব্যারিকেডের ওপর উঠে কেন্দ্রীয় সরকার এবং প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে শুরু করেন তৃণমূলের মহিলা সাংসদরা। আর এই চিত্র সামনে আসার পরেই বিজেপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে, যারা সংসদে আইন তৈরি করবেন বলে সাধারণ মানুষ তাদের পাঠিয়েছেন, তারাই প্রকাশ্যে আইন ভাঙ্গার কাজ করছেন। কোনো বিষয় নিয়ে তাদের প্রতিবাদ থাকতেই পারে। কিন্তু পুলিশের কাছে অনুমতি না নিয়ে পুলিশ ব্যারিকেড দেওয়ার পরেও যেভাবে সেই ব্যারিকেড টপকে বিরোধী দলের সাংসদরা অসভ্যতা করলেন দিল্লির মাটিতে, তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক এবং গণতন্ত্রের পক্ষে ক্ষতিকর বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।