প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
তৃণমূল মানেই সংস্কৃতি বিরোধী, তৃণমূল মানেই দেশবিরোধী একটি রাজনৈতিক দল। বারবার বিভিন্নভাবে এই কথা তুলে ধরে বিজেপির পক্ষ থেকে রাজ্যে শাসক দলকে খোঁচা দেওয়া হয়। সম্প্রতি সংসদের অধিবেশন চলাকালীন বিজেপির এক সাংসদ অভিযোগ করেন যে, একজন সাংসদ সংসদের ভেতরে ই সিগারেট খাচ্ছেন। কিন্তু তখনও জানতে পারা যায়নি যে, কে সেই সাংসদ? বিভিন্ন মহলে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে যে, তৃণমূলের কোনো সাংসদ এই কীর্তিকলাপের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন। কিন্তু ইতিমধ্যেই সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য। যেখানে দেখা যাচ্ছে যে, কীর্তি আজাদ, যিনি তৃণমূলের সাংসদ, তার ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে। আর সংসদের ভেতরে যে ধরনের কাণ্ডকলাপ ঘটিয়েছেন এই তৃণমূল সাংসদ, যেভাবে অমিত মালব্য দাবি করছেন যে, তিনি ই সিগারেট খাচ্ছিলেন, তার পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূল কি এবার সেই সংসদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে, নাকি এখনও পর্যন্ত তাকে আড়াল করার চেষ্টা করে যাবে? আর সেই বিষয় নিয়েই এবার প্রতিক্রিয়া দিলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
সম্প্রতি সংসদের ভেতরে অধিবেশন চলাকালীন তৃণমূলের এক সাংসদের বিরুদ্ধে ই সিগারেট খাওয়ার অভিযোগ ওঠে। তবে কে সেই সাংসদ, তা নিয়ে এতদিন গুঞ্জন চলছিলো। কিন্তু অমিত মালব্যের পোস্ট করা ভিডিওর পরিপ্রেক্ষিতে জানতে পারা যায় যে, সেই তৃণমূল সাংসদ হলেন কীর্তি আজাদ। তবে মুখে হাত দিলেই তিনি ধূমপান করছেন, এটা প্রমাণ হয় না বলে পাল্টা দাবি করলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আবার জানিয়ে দিলেন যে, সংসদের ভেতরেও বহু ক্যামেরা আছে। তাই উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ সহ যদি ফুটেজ দেখানো হয়, তাহলে তিনি অবশ্যই দলগত ব্যবস্থা নেবেন এই সাংসদের বিরুদ্ধে।
এদিন অমিত মালব্যের পোস্ট করা ভিডিও এবং সেখানে কীর্তি আজাদ ই সিগারেট খাচ্ছেন বলে যে দাবি করা হয়েছে, সেই ভিত্তিতে অভিষেকবাবুকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। আর সেই ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে ডায়মন্ডহারবারের তৃণমূল সাংসদ বলেন, “কোন বিজেপির সাংসদ, কোথাও একটা টুইট করে ৫ সেকেন্ডের একটা ফুটেজ খাচ্ছে, মুখ ঢাকা, তার ভিত্তিতে আমি কোনো কথা বলতে পারব না। সংসদের ভেতরে কম করে ৫০ থেকে ১০০ টাকা করে আছে। আপনি ফুটেজ দেখবেন, তারপরে আমাকে জিজ্ঞেস করবেন। যদি সত্যি হয়, তাহলে দলীয় স্তরে তদন্ত করে শোকজ করে ব্যবস্থা নেব। এরকম ঘটনা তৃণমূল কংগ্রেস বরদাস্ত করে না। আমরা সংসদের গরিমাকে সম্মান করি। সংসদ ধূমপান করার জায়গা নয়।”