প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআই এবং ইডি, দুজনের হাতেই গ্রেপ্তার হয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। প্রথমে তিনি গ্রেফতার হয়ে বেশ কিছুদিন জেলে থাকলেও, পরবর্তীতে জামিন পেয়েছিলেন তিনি। তারপর আবার কিছুদিন আগে তার বাড়িতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা আসে। আর সেখানে আবার তাকে এই নিয়োগ দুর্নীতির ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে জেলে রয়েছেন এই তৃণমূল বিধায়ক। ‌ ইতিমধ্যেই তার সঙ্গে গিয়ে দেখা করে এসেছেন মুর্শিদাবাদ জেলারই ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। বর্তমান সেই হুমায়ুনবাবু দলের জেলার নেতৃত্বের বিরুদ্ধে একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করছেন। আর এবার নিজেরই সতীর্থ তথা জেলে থাকা তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার গ্রেপ্তারি নিয়ে মুর্শিদাবাদ জেলায় তৃণমূলের সভাপতিকেই রীতিমত বিড়ম্বনার মুখে ফেলে দিলেন সেই হুমায়ুন কবীর। তার দাবি, জীবনকৃষ্ণ সাহার বাবাকে দিয়ে ছেলের বিরুদ্ধে নিয়ে গিয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অপূর্ব সরকার এই গ্রেফতারি করিয়েছেন। এক্ষেত্রে তিনি সঠিক সময়ে সেই সমস্ত তথ্য দিয়ে দেবেন বলেও হুশিয়ারি দিয়েছেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক।

 

 

 

এতদিন অনেকেই বলাবলি করতেন যে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সঙ্গে তৃনমূলের একটা অংশের সেটিং রয়েছে। সেই কারণেই কি ছোটখাটো চুনোপুঁটিদের জেরা করা এবং গ্রেপ্তার করা হলেও, বড় মাথাদের ধরা হচ্ছে না! আর এই সমস্ত প্রশ্নের মধ্যেই মুর্শিদাবাদ জেলার এক তৃণমূল বিধায়কের গ্রেফতারি নিয়ে আরও এক তৃণমূল বিধায়ক মুখ খুলে রীতিমত চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এনে দিলেন। এক্ষেত্রে সেই মুর্শিদাবাদের তৃণমূলের জেলা সভাপতিকেই এক বিধায়কের গ্রেফতারির জন্য দায়ী করলেন তিনি। যার ফলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যে, তাহলে কি অনুব্রত মণ্ডলের সেই কথাটাই সত্যি! তৃণমূলই তৃণমূলের আসল শত্রু? অনেকে আবার বলছেন, তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর যে কথা বললেন, তাতে তো আরও একটা বিষয় উঠে আসছে যে, এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সঙ্গে কোনো সেটিং নেই তো?

 

 

 

হুমায়ুন কবীরের স্পষ্ট দাবি, জীবনকৃষ্ন সাহার বাবাকে দিয়ে ছেলের বিরুদ্ধে বলানো হয়েছে। আর এর পেছনে তৃণমূলের জেলা সভাপতি রয়েছেন। আমি সঠিক সময়ে সঠিক তথ্য সামনে এনে দেব। ‌ তিনি আরও প্রশ্ন তুলেছেন যে, জীবনকৃষ্ণ সাহা কি তৃণমূলের বিধায়ক নন? তিনি একবার গ্রেফতার হয়েছেন তো, কি হয়েছে? অনুব্রত মণ্ডলও তো একবার গ্রেফতার হয়েছিলেন। তারপর তিনিই তো কিছুদিন আগে বলেছিলেন, তৃণমূলই তৃণমূলের আসল শত্রু। অর্থাৎ হুমায়ুনবাবু এই মন্তব্য করেই ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিতে চাইলেন যে, মুর্শিদাবাদ জেলার তৃণমূলের যে বিধায়ক বর্তমানে জেলে রয়েছেন, তার এই শ্রীঘরে যাওয়ার পেছনে তৃণমূলের জেলা সভাপতিরই চক্রান্ত রয়েছে বলে চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস করলেন হুমায়ুন কবীর। আগামী দিনে গোটা ঘটনার গতিপ্রকৃতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।