প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের বিরোধীরা মাঝেমধ্যেই বলে থাকে যে, প্রশাসন এবং তৃণমূল দল এক হয়ে গিয়েছে। তবে প্রশাসনের মধ্যে থেকে যে সমস্ত সরকারি আধিকারিকরা একটু শিড়দাঁরা সোজা রেখে কাজ করার চেষ্টা করছেন, তাদের সঙ্গে তৃণমূল নেতাদের দুর্ব্যবহার মাঝেমধ্যেই লক্ষ্য করা যায়। অতীতেও অনেক তৃণমূল নেতার মাতব্বরি দেখা গিয়েছে। আর এবার প্রকাশ্যেই একটি সরকারি অনুষ্ঠানে বন আধিকারিককে ধমক দিলেন পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। ইতিমধ্যেই তার সরকারি আধিকারিকের সঙ্গে এই দুর্ব্যবহারের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।

প্রসঙ্গত, এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই দেখা যাচ্ছে যে, পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী একটি সরকারি অনুষ্ঠানে গিয়ে বনদপ্তরের আধিকারিককে কড়া ভাষায় ধমক দিচ্ছেন। তাকে না জানিয়ে কেন বৃক্ষরোপণ করা হয়েছে, তা নিয়ে সেই সরকারি আধিকারিকে রীতিমত হুঁশিয়ারি দিতে দেখা যাচ্ছে তৃণমূল বিধায়ককে। আর এই ভিডিও সামনে আসতেই প্রশ্ন উঠছে যে, সরকার এবং প্রশাসন কি তার নিজের কাজ করতে পারবে না? সব ক্ষেত্রেই কি তৃণমূলের নেতাদের সবকিছু জানাতে হবে? অবশ্যই বিধায়ক হিসেবে তিনি প্রশাসনের একটি পার্ট। কিন্তু এইভাবে প্রকাশ্যে সরকারি অনুষ্ঠানে একজন সরকারি আধিকারিককে যেভাবে ধমক দিলেন তৃণমূল বিধায়ক, তাতে প্রশ্ন উঠছে যে, তৃণমূলের চাকরবৃত্তি না করলে, তৃণমূলের বিধায়ক থেকে শুরু করে নেতাদের কথা না শুনলে কি এইরকমই দুর্ব্যবহারের মুখে পড়তে হবে সরকারি আধিকারিকদের?

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপির ঘনিষ্ঠ মহল। তাদের দাবি, গোটা রাজ্য জুড়েই এই পরিস্থিতি চলছে। তৃণমূল দল এবং প্রশাসন এক হয়ে গিয়েছে। আর যেখানে কিছু সরকারি আধিকারিকরা নিজের মত করে কাজ করার চেষ্টা করছেন, সেখানেই তাদের বাধ্য করা হচ্ছে তৃণমূলের চাকরবৃত্তি করার জন্য। প্রকাশ্যে সরকারি অনুষ্ঠানে গিয়ে একজন সরকারি আধিকারিককে যে ভাষায় ধমক দিলেন তৃণমূল বিধায়ক, তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। এভাবেই তৃণমূল নেতারা নিজেদের সর্বেসর্বা ভেবে সব জায়গায় প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছেন। তবে তাদের এই কর্তৃত্ব স্থাপনের চেষ্টা বেশিদিন দীর্ঘায়িত হবে না। আগামী দিনে তৃণমূল বলে এই রাজ্যে আর কিছু থাকবে না বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।