প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যে কি করে গণতন্ত্রের কন্ঠরোধ করা যায়, কি করে যারা শাসকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করবে, তাদের মুখ বন্ধ করা যায়, তার জন্য সব সময় পুলিশকে লেলিয়ে দেওয়া হয় বলেই অভিযোগ করে বিরোধীরা। এর আগেও এসএসসি ভবন অভিযানের দিন প্রতিবাদী চাকরিহারা শিক্ষক সুমন বিশ্বাসকে আটক করা হয়েছিল। আর আজ সকাল থেকেই তার বাড়ির সামনে পুলিশের আনাগোনা নিয়ে তার ভাই প্রশ্ন তুলেছিলেন্ আশঙ্কা ছিল যে, সুমন বিশ্বাস সহ যোগ্য চাকরিহারা ব্যক্তিরা, আজ আবার যে এসএসসি ভবন অভিযানের ডাক দিয়েছে, তাকে আটকানোর জন্য হয়ত আবার সেই সুমনবাবুর মুখ বন্ধ করা হবে। হয়ত আবার তাকে গ্রেপ্তারির চেষ্টা করা হবে। আর সেই আশঙ্কার মধ্যেই এবার করুণাময়ী মেট্রো স্টেশনে সেই সুমন বিশ্বাসের কলার ধরেছে পুলিশ বলে অভিযোগ উঠলো।

প্রসঙ্গত, আজ আবার যোগ্য চাকরিহারা ব্যক্তিদের পক্ষ থেকে এসএসসি ভবন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তার মধ্যেই ঘটে গেল বড়সড় ঘটনা। যেখানে ১০ টার সময় করুণাময়ী মেট্রো স্টেশনে পৌঁছে যান চাকরিহারা প্রতিবাদী শিক্ষক সুমন বিশ্বাস। অভিযোগ, সেই সময় বিধান নগর নর্থ থানার দুজন অফিসার তাকে আটক করার চেষ্টা করেন। এমনকি তার কলার পর্যন্ত ধরা হয় বলে অভিযোগ। আর সেই গোটা ঘটনার ভিডিও ফেসবুক লাইভের মধ্যে দিয়ে তুলে ধরেন এক ব্যক্তি। যদিও বা শেষ পর্যন্ত সেই সুমন বিশ্বাসকে আটক করতে ব্যর্থ হয় পুলিশ বলেই জানা যাচ্ছে।

আর ফেসবুক লাইভের মধ্য দিয়ে গোটা ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরেই রীতিমত তুলকালাম পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে এলাকা জুড়ে। বিরোধীদের প্রশ্ন, এভাবেই কি প্রতিটি ক্ষেত্রে কণ্ঠরোধের চেষ্টা করা হচ্ছে? এই রাজ্যের পুলিশকে দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার প্রশাসন যারাই প্রতিবাদ করবে, তাদের মুখ কি এভাবেই বন্ধ করার চেষ্টা চলছে? ফেসবুক লাইভের মধ্য দিয়ে তো আসল চিত্র প্রকাশ্যে চলে এলো। বোঝা গেল যে, এই রাজ্যের প্রশাসন কতটা দলদাসের মত কাজ করছে! যার ফলে প্রতিবাদী চাকরিহারা শিক্ষক সুমন বিশ্বাসকে যে হেনস্থা করা হলো, তাতে বোঝা যাচ্ছে যে, এই রাজ্য সরকার কতটা চাপে পড়েছে! যার ফলে তাদের এই প্রশাসনকে দিয়ে গায়ের জোরে মুখ বন্ধ করার প্রচেষ্টার আরও একটা জঘন্য দৃশ্য সামনে চলে এলো বলেই মত রাজনৈতিক সমালোচকদের।