প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যবাসী বহু দুর্নীতি দেখার পরেও আশা করেছিলেন যে, এবার যখন আদালতের নির্দেশে এসএসসি পরীক্ষা নিচ্ছে, তখন সেখানে দুর্নীতিমুক্ত স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্ভব হবে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ভেরিফিকেশনের ক্ষেত্রে যারা ডাক পেয়েছেন এবং পুরো নাম্বার পাওয়া সত্ত্বেও যারা ডাক পাননি, সেক্ষেত্রে অনেকেই অনেক প্রশ্ন তুলছেন। যারা যোগ্য চাকরিহারা, তারা যেমন রাস্তায় নেমেছেন, ঠিক তেমনই যারা নতুন পরীক্ষা দিয়েছিলেন, তারাও কেন বাড়তি ১০ নম্বর যোগ্য চাকরিহারা শিক্ষক শিক্ষিকাদের দেওয়া হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। স্বাভাবিক ভাবেই আবার বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন উঠছে যে, এসএসসি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আবার বড় দুর্নীতি হতে পারে। আর এসবের মধ্যেই এবার তৃণমূলের আমলে যে কোনো স্বচ্ছ নিয়োগ হবে না, তা আরও একবার স্পষ্ট করে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ইতিমধ্যেই ২০১৬ সালের এসএসসি পুরো প্যানেল বাতিল হয়ে গিয়েছে। তারপর বহু জল গড়িয়ে গিয়েছে। যারা যোগ্য চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছে, তারাও আদালতের নির্দেশে পরীক্ষায় বসেছিলেন। কিন্তু ফের আরও একবার দুর্নীতির অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। অনেকেই বলছেন যে, যারা পুরো নম্বর পেয়েছিলেন পরীক্ষায়, তাদের অনেককেই ভেরিফিকেশনে ডাকা হয়নি। আর এসবের মধ্যেই যখন বিভিন্ন প্রশ্ন বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন উঠছে, ঠিক তখনই সেই নিয়োগ প্রক্রিয়ার অস্বচ্ছতা নিয়ে শাসক দলকে চাপে ফেলে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্য বিজেপির সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। আর সেখানেই ফের আরও একবার এসএসসির নয়া পরীক্ষা নিয়ে যে দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে, সেই বিষয়ে তাকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তরে শমীকবাবু বলেন, “তৃণমূল সরকার মেধার মর্যাদা দিয়ে কোনো স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়া করতে পারবে না। তৃণমূল আর দুর্নীতি সমার্থক শব্দ। তৃণমূলের নিয়োগ, তার মানেই সেখানে জল, বিক্রি। সুতরাং ক্ষোভ থাকবে। স্বতঃস্ফূর্তভাবে মানুষ তার প্রতিবাদ করবে।”