প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের বুকে যে মহিলাদের, এমনকি শিশু কন্যাদের নিরাপত্তা বলতে কিছু নেই, তা আরো একবার চোখের সামনে স্পষ্ট হয়ে গেল। যেখানে উৎসবের মধ্যে এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে এসে যৌন-নিগ্রহের শিকার হলেন এক ১৫ বছরের নাবালিকা। আর বিষয়টা এতটাই আশ্চর্যের এবং আতঙ্কের যে, যে ব্যক্তি এসএসকেএম হাসপাতালে কর্মরত নন, যিনি আগে সেখানে কর্মরত ছিলেন, তিনি হঠাৎ করে হাসপাতালের ভেতরে ঢুকে কি করে এই নাবালিকাকে যৌন নিগ্রহ করলেন, তা নিয়েও উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। স্বাভাবিকভাবেই সকলেই গোটা ঘটনায় একদিকে রাজ্যের এত বড় সরকারি হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে যেমন প্রশ্ন তুলছেন, ঠিক তেমনই উদাসীনতা নিয়েও উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই এসএসকেএম হাসপাতালে যে ঘটনা ঘটেছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে গ্রেপ্তার করেই কি সমস্ত কিছু বন্ধ হয়ে যাবে? কেন বারবার হাসপাতালের মধ্যে এই ধরনের ঘটনা ঘটছে! আর এসএসকেএম হাসপাতাল তো নামি হাসপাতাল। সেইখানে সরকারি হাসপাতালের ভেতর কেন নিরাপত্তার এত গাফিলতি দেখতে পাওয়া যাচ্ছে? ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে রাজ্যের স্বাস্থ্য ভবনের পক্ষ থেকেও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। যেখানে স্বাস্থ্য ভবনের পক্ষ থেকে ওয়ার্ডের ভেতরে কিভাবে এই ধরনের ঘটনা ঘটলো, তা নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে।
বিরোধীদের প্রশ্ন যে, স্বাস্থ্য ভবনের হয়ত দেরিতে হলেও ঘুম ভেঙ্গেছে। কিন্তু এসব করে কি কোনো লাভের লাভ হবে? এর আগেও তো আরজিকরের মত হাসপাতালে ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটেছে। তারপর রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় নারী নির্যাতনের ভয়ংকর খবর সামনে আসছে। আর এবার সরকারি হাসপাতাল, নামি হাসপাতাল এসএসকেএমের মত জায়গায় যে ঘটনা ঘটে গেল, তা তো নিরাপত্তার গাফিলতির জন্যই ঘটেছে। ফলে ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর এই সমস্ত রিপোর্ট তলব করার কোনো সার্থকতা কি রয়েছে? কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করার পর যদি ঘটনা না ঘটত, তাহলে না হয় মেনে নেওয়া যেত। কিন্তু এতদিন তো এই রাজ্যের বুকে একের পর এক ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর প্রশাসনের পক্ষ থেকে কড়া বার্তা দেওয়ার পরেও ফের এইরকম ঘটনা ঘটতে দেখা যাচ্ছে। ফলে এসএসকেএম হাসপাতালে এত বড় জঘন্য ঘটনা ঘটার পর স্বাস্থ্য ভবন এই রিপোর্ট তলবের মত পদক্ষেপ নিলেও তাতে কতটা লাভ হবে, তা নিয়েও যথেষ্ট সংশয়ে বিরোধীরা।