প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এর আগেও সুজিত বসুর বাড়িতে দীর্ঘ সময় ধরে তল্লাশি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আজ আবার সকাল থেকেই অ্যাকশন মুডে দেখা যাচ্ছে ইডি আধিকারিকদের। যেখানে রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসুর অফিসে তল্লাশি চালিয়েছে তারা। আর এই ঘটনার সামনে আসার পরেই বিরোধী রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে আসতে শুরু করেছে প্রতিক্রিয়া। তাদের প্রত্যেকেরই বক্তব্য, সুজিত বসুর মত নেতারা এখন বড় ক্ষমতা পেয়ে কোটিপতি হয়েছেন। তাই এই টাকার উৎস সাধারণ মানুষের জানা প্রয়োজন। তাই অবিলম্বে রাজ্যের এই মন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করতে হবে। তবে শুধু গ্রেপ্তার করেই সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না, এবার সুজিত বসুর বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে আরও বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করার দাবি জানালেন বিজেপি নেতা অর্জুন সিংহ।

ইতিমধ্যেই সুজিত বসুর অফিসে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার পৌঁছে যাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে নানা মহলে চর্চা শুরু হয়েছে। সকলে একটাই কথা বলছেন যে, তল্লাশি তো অনেক হলো। এবার রাঘববোয়ালদের কবে জালে পুড়বে কেন্দ্রীয় এজেন্সি? ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার দাবি করেছেন যে, একসময় সুজিত বসু এগরোল বিক্রি করতেন। আর এখন তিনি মন্ত্রী হয়ে তার যে কোটি কোটি টাকা হয়েছে, তার উৎস মানুষের জানা প্রয়োজন। আর সেই কথা উল্লেখ করেই সুজিত বসুকে গ্রেপ্তার করার পাশাপাশি তার সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হোক বলে দাবি করলেন ব্যারাকপুরের প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ।

এদিন সুজিত বসুর অফিসে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তল্লাশি নিয়ে অর্জুন সিংহকে একটি প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “এই সমস্ত লোকেদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে এদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা দরকার‌। শুধুমাত্র গ্রেপ্তার করলে হবে না। এদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা প্রয়োজন। কারণ এরা কোনো অংকেই দেখাতে পারবে না, এদের রোজগারের রাস্তা কি! কারওর ৫ শতাংশ, কারওর ১০ শতাংশ রোজগার বাড়ে। আর এদের ১০০০ শতাংশ রোজগার বেড়েছে।”