প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যে খেলা, মেলা, উৎসবে এবং ক্লাবগুলোকে টাকা দিতে মুখ্যমন্ত্রীর অর্থনৈতিক ভান্ডারে কোনোরকম চাপ পড়ে না। কিন্তু যখনই সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার প্রশ্ন আসে, তখনই এই সরকারের হাত থেকে একটি টাকাও বের হয় না। তবে সুপ্রিম কোর্টে গত মে মাসের ১৬ তারিখ এই বকেয়া মহার্ঘ ভাতার শুনানিতে ২৫ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা ৬ সপ্তাহের মধ্যে মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তা পালন করা হয়নি বলেই অভিযোগ। যার পরিপ্রেক্ষিতে অনেকেই আদালত অবমাননার অভিযোগ তুলেছিলেন। আর তার পরিপ্রেক্ষিতেই আজ ফের সুপ্রিম কোর্টে এই বকেয়া মহার্ঘ ভাতা নিয়ে মামলা ছিল। কিন্তু এদিনও সেই মামলার শুনানি হলো না।

বলা বাহুল্য, এদিন সুপ্রিম কোর্টে বকেয়া মহার্ঘ ভাতা নিয়ে মামলার শুনানি ছিল। যে শুনানির দিকে তাকিয়ে ছিলেন গোটা রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা। কিন্তু এদিনও সেই মামলার শুনানি হলো না। যেখানে আদালতের পক্ষ থেকে আগামীকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার ৫ আগস্ট এই মামলার শুনানি হবে বলে জানানো হয়েছে। এক্ষেত্রে আদালত জানিয়ে,ছে এই মামলার পূর্ণাঙ্গ শুনানি প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে মামলার গুরুত্ব অনুধাবন করে যেহেতু এই মামলার সঙ্গে বহু সরকারি কর্মীর ভবিষ্যৎ জড়িত, তাই দ্রুত নিষ্পত্তির প্রয়োজন বলেও জানিয়ে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। প্রয়োজনে প্রত্যেকদিন মামলার শুনানি করার কথাও জানিয়েছেন তারা।

সরকারি কর্মচারীদের একটা অংশের বক্তব্য, অবিলম্বে এই মামলার শুনানি হওয়া উচিত। সুপ্রিম কোর্ট সেই গুরুত্ব অনুধাবন করেই এই পর্যবেক্ষণ করেছেন। রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া নির্দেশ পালন করেনি। অবিলম্বে যাতে সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হয়, তার জন্য সুপ্রিম কোর্ট এর আগেও নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু রাজ্য সেই নির্দেশ পালন না করার জন্য এই মামলার জটিলতা বেড়েছে। তাই রাজ্যের প্রচুর সরকারি কর্মীর ভবিষ্যৎ যেহেতু এই মামলার সঙ্গে জড়িত, যা সুপ্রিম কোর্ট অনুধাবন করেছেন, তাতে ভবিষ্যতে কর্মচারীদের পক্ষেই রায় যাবে বলেই মনে করছেন মহার্ঘভাতার দাবিতে আন্দোলন করা সরকারি কর্মীরা।