প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
রাজ্য বিধানসভা গণতন্ত্রের পীঠস্থান। যেখানে সবথেকে বেশি ভূমিকা থাকে বিরোধীদের। কিন্তু কথায় কথায় বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করে এই রাজ্যের শাসক দল বলে অভিযোগ। এক্ষেত্রে বিধানসভার অধ্যক্ষ দলদাসের মত আচরণ করে বিভিন্ন সময় যে সমস্ত বিজেপি বিধায়করা প্রতিবাদ করেন, এমনকি বিরোধী দলনেতার প্রতিবাদী কণ্ঠস্বরকে আটকানোর জন্য সাসপেন্ড করার চেষ্টা করেন বলেই অভিযোগ বিজেপির। আর আজ সেনাবাহিনীর হয়ে কথা বলতে গিয়ে বিধানসভার ভেতরে আওয়াজ তোলার জন্য সাসপেন্ড হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। নিজের মুখেই সেই কথা জানিয়ে রীতিমত গর্ব অনুভব করলেন তিনি। কিন্তু সাসপেন্ড হয়ে যাওয়ার পরেও কি করে গর্ববোধ করছেন শুভেন্দুবাবু?
প্রসঙ্গত, গতকাল মেয়ো রোডে মুখ্যমন্ত্রী সেনাবাহিনীকে আক্রমণ করে যে সমস্ত মন্তব্য করেছেন, তাকে প্রথম থেকেই কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। আর আজ রাজ্য বিধানসভায় রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর মন্তব্যের বিরোধিতা করতে শুরু করেন তিনি। যেখানে কার্যবিবরণী থেকে শিক্ষামন্ত্রীর মন্তব্য বাদ দেওয়ার দাবি জানান শুভেন্দু অধিকারী। আর তিনি যখন সেনাবাহিনীর অপমানের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে শুরু করেন, তখনই তাকে অধ্যক্ষ সাসপেন্ড করেন বলে অভিযোগ। আর এরপরেই বাইরে বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি সেনাবাহিনীর হয়ে কথা বলার জন্য সাসপেন্ড হয়েছেন, আর এতে তিনি গর্বিত বলেই দাবি করেন শুভেন্দু অধিকারী।
প্রসঙ্গত, এদিন রাজ্য বিধানসভায় সাসপেন্ড হয়ে যাওয়ার পরেই শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপি বিধায়করা বাইরে বেরিয়ে আসেন। সেনাবাহিনীর পক্ষে স্লোগান দিতে শুরু করেন তারা। পাশাপাশি তৃণমূলের বিরুদ্ধে “পাকিস্তানের দালাল” বলেও স্লোগান দিতে দেখা যায় শুভেন্দু অধিকারী সহ বিজেপি বিধায়কদের। আর এরপরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “ব্রাত্য বসু সেনাবাহিনীকে অপমান করেছেন। তাই তার বক্তব্য কার্যবিবরণী থেকে বাদ দেওয়ার দাবি করেছিলাম। কিন্তু সেনাবাহিনীর হয়ে কথা বলতে গিয়ে আজকে আমাকে সাসপেন্ড হতে হলো। এর আগে বগটুইয়ে সংখ্যালঘু পরিবারের মহিলা এবং শিশুদের পুড়িয়ে মারার ঘটনায় প্রতিবাদ করার কারণে আমাকে সাসপেন্ড হতে হয়েছিল। তারপর দুর্গা প্রতিমার প্রতি অবহেলার কারণে প্রতিবাদের জন্য আমাকে সাসপেন্ড হতে হয়েছিল। আর আজ সেনাবাহিনীর প্রতি যে অপমান, যে রাজনীতিকরন, তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে, সেনাবাহিনীর হয়ে কথা বলতে গিয়ে আমাকে সাসপেন্ড হতে হলো। আমি সেনাবাহিনীর হয়ে কথা বলতে গিয়ে সাসপেন্ড হয়েছি, এতে আমি গর্বিত।”