প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- এমনিতেই এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এক চুলও জায়গা ছেড়ে দেন না রাজ্যের শাসক দল তৃনমূল কংগ্রেসকে। এবারের নির্বাচনী লড়াইয়ে তিনি যেভাবে পরিকল্পনা করেছেন, তাতে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে তৃণমূলের পতন অবশ্যম্ভাবী বলেই দাবি করছে বিরোধীরা। তাই কোনোভাবেই শুভেন্দু অধিকারীকে কাবু করতে না পেরে এবার এমন এক পরিকল্পনা গ্রহণ করে ফেললো রাজ্যের শাসক দল, যার ফলে রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যে, তৃণমূলের যে পদক্ষেপ সামনে এসেছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে শুভেন্দু অধিকারীর ভবিষ্যৎ কি হবে? বড় কোনো কি পদক্ষেপ গ্রহণ করবে নির্বাচন কমিশন?

প্রসঙ্গত, এমনিতেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের আগে শুরু হয়ে গিয়েছে এসআইআর। আর এই এসআইআরের আতঙ্ক তৃণমূলের মধ্যে এতটাই প্রকটভাবে গ্রাস করেছে যে, তারা নির্বাচন কমিশন থেকে শুরু করে বিভিন্ন সাংবিধানিক সংস্থাকে আক্রমণ করতেও দুবার ভাবছে না। আর এসবের মধ্যেই এসআইআর হলে একদিকে যেমন তৃণমূলের অবৈধ ভোটব্যাঙ্ক সরে যেতে পারে, ঠিক তেমনই রাজনৈতিক ভাবে রাজ্যের শাসক দলের ওপর ক্রমশ চাপ বাড়াতে পারে বিজেপি। আর সেই কারণেই কি এবার বিরোধী দলনেতাকে টার্গেট করে ছক মাফিক পদক্ষেপ গ্রহণ করে ফেললো তৃণমূল কংগ্রেস? যতদূর খবর পাওয়া যাচ্ছে যে, শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের দাবী জানিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে রাজ্যের শাসক দল।

বলা বাহুল্য, কিছুদিন আগেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বিএলওদের নিরপেক্ষভাবে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। এমনকি যদি কোনো বিএলও নিরপেক্ষ ভাবে কাজ না করেন, তাহলে বিহারের নিদর্শনের কথা তুলে ধরে তাদের জেলে যেতে হতে পারে বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি। আর শুভেন্দুবাবুর এই মন্তব্যকে হাতিয়ার করেই বিএলওদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনে রাজ্যের বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। যেখানে শুভেন্দু অধিকারীকে জব্দ করার সব রকম কৌশল বেছে নিয়েছে তারা। তবে শেষ পর্যন্ত তৃণমূলের এই প্ল্যান কতটা কাজে দেয়, সেদিকেই নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের।