প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- গতকাল থেকেই তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা উল্লসিত হয়ে পড়েছিলেন। কিছু না বুঝেই তারা বলতে শুরু করেছিলেন যে, শুভেন্দু অধিকারীর রক্ষাকবচের যে বিষয়টি ছিল, সেটি আদালত প্রত্যাহার করেছে। এখন শুভেন্দু অধিকারী চাপে পড়বেন। কিন্তু আদালত যে সমস্ত নির্দেশ দিয়েছিল, তা ঠিকমত না বুঝেই যে তৃণমূলের এই উল্লাস করেছিল, তা নিয়ে পাল্টা যুক্তি এসেছে বিরোধীদের পক্ষ থেকে। পরবর্তীতে আদালতের যে সমস্ত নির্দেশ সামনে আসে, তাতেই বোঝা যায় যে, শুভেন্দু অধিকারী নয়, এর ফলে এই রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনই আরও চাপে পড়ে গেল। কিন্তু মাত্র চার থেকে পাঁচটি মামলায় শুভেন্দু অধিকারী রক্ষাকবচ হয়ত আদালত প্রত্যাহার করার নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু সেই নির্দেশ সামনে আসার পর ফের আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেল যে, এই রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনকে দিয়ে কিভাবে রাজ্যের বিরোধী দলনেতার সভা সমিতিতে বাধা দান করার প্রক্রিয়া চলে।
বলা বাহুল্য, এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং তার দল বিজেপি মাঝেমধ্যে অভিযোগ করে যে, যেখানেই বিজেপি সভা করতে যায়, সেখানেই তাদের সভায় বাধা করার সমস্ত কৌশল নেয় রাজ্যের শাসক দল। এমনকি পুলিশ প্রশাসনকে দিয়ে যাতে বিশেষ করে শুভেন্দু অধিকারীর সভায় অনুমতি দেওয়া না হয়, তার জন্য তারা সব রকম চেষ্টা করে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে শুভেন্দু অধিকারী আদালতে গিয়ে সেই অনুমতি নিয়ে এসেছেন। তবে আজ দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরে বিজেপির পক্ষ থেকে বিজয় সংকল্প সভার আয়োজন করা হয়েছিল। যেখানে একদিকে শুভেন্দু অধিকারী এবং অন্যদিকে সুকান্ত মজুমদারের থাকার কথা ছিল। তবে পৌরসভার পক্ষ থেকে গঙ্গারামপুর স্টেডিয়ামের মাঠ দেওয়া হয়েছে। সেই মত প্যান্ডেল করেছিল বিজেপি। কিন্তু শেষ মুহূর্তে পুলিশের পক্ষ থেকে অনুমতি দেওয়া হলো না। আর তার ফলেই সেই সভা ঘিরে তৈরি হয়েছে জটিলতা।
ইতিমধ্যেই সেই সভার প্রস্তুতি এবং ভবিষ্যৎ কি হবে, তা নিয়ে বিজেপি নেতাকর্মীরা যথেষ্ট দোলাচলে রয়েছেন। তবে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, পুলিশ হয়ত অনুমতি দেয়নি, কিন্তু এই সভায় তিনি যাবেন। তবে মাইক ব্যবহার না করলেই হলো। তিনি মাইক ব্যবহার করবেন না। কিন্তু কর্মীদের সঙ্গে বিজয়ার শুভেচ্ছা জানিয়ে করমর্দন করে তিনি ফিরে আসবেন। অর্থাৎ এই রাজ্যের পুলিশ তৃণমূলের কথাই হয়ত শুভেন্দু অধিকারীর এই সভায় বাধাদান করতে এবং তার দক্ষিণ দিনাজপুরে আসা আটকাতে সব রকম চেষ্টা করেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নিজেদের বজায় রেখে এই কর্মসূচি করে পুলিশের যে নির্লজ্জতা, যে দলদাসের মত ভূমিকা, তাকে সামনে এনে দিয়ে পাল্টা চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে গেরুয়া শিবির। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।