প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খুব ভালো মতই বুঝতে পেরেছেন যে, এবারে ২০২৬ এর নির্বাচনের বৈতরণী পার হওয়া তার পক্ষে অত্যন্ত কঠিন। কেননা পশ্চিমবঙ্গে এবার এসআইআর হতে চলেছে। আর এসআইআর হলে অবৈধ ভোটারদের নাম বাদ যাবে। আর সেই সমস্ত ভোটারদের নাম বাদ গেলে তৃণমূল এতদিন এদের সাহায্যেই যেভাবে ক্ষমতায় টিকে ছিল, তা আর সম্ভব হবে না। তাই এখন আতঙ্কে পড়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে মীরজাফর আখ্যা দেওয়ার পাশাপাশি নিজেকে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের সঙ্গে তুলনা করছেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি দাবি করেছেন যে, সুস্থ বাঘের থেকেও আহত বাঘ ভয়ংকর। অর্থাৎ তাদের যেভাবে আক্রমণ করা হচ্ছে, তাতে তিনি আরও বেশি আক্রমণাত্মক এবং লড়াইয়ের মনোভাব নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়বেন। এমনটাই বোঝানোর চেষ্টা করছেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। বোঝানোর চেষ্টা করছেন যে, তিনি বাঘিনীর মত লড়াই করবেন। কিন্তু নিজেকে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের সঙ্গে তুলনা করতে গিয়ে হাসির পাত্র হয়ে গেলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী নিজেই। আর তাকে এইভাবে গাড্ডায় ফেলে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
গতকাল রাজ্য নির্বাচনে আধিকারিকের দপ্তরে যান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যেখানে গিয়ে তিনি প্রতিবাদ জানান যে, মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক সম্পর্কে অপমানজনক মন্তব্য করেছেন, তাতে তাকে কঠোর শাস্তি দিতে হবে। আর তারপরেই বাইরে বেরিয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি। আর সেখানেই এক সাংবাদিক শুভেন্দুবাবুকে জিজ্ঞাসা করেন যে, মুখ্যমন্ত্রী নিজেকে বাঘিনীর সঙ্গে তুলনা করছেন, এই ব্যাপারে তিনি কি বলবেন? আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী যে মন্তব্য করেন, তাদের সকলেই বলছেন যে, সত্যিই তো তাই! যে মুখ্যমন্ত্রী সামান্য বিরোধী দলনেতার সঙ্গে পেরে ওঠেন না, যাকে নন্দীগ্রামে হারিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেন শুভেন্দু অধিকারী, তিনি নিজেকে বাঘিনীর সঙ্গে তুলনা করতে পারেন কি করে?
এদিন এই ব্যাপারে শুভেন্দুবাবুকে একটি প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “হ্যাঁ, উনি কত বড় বাঘিনী সেটা দেখা আছে। এত বড় রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার যে, আমার কাছে হেরেছে। বাংলায় হেরেছে, নন্দীগ্রামে হেরেছে। এত বড় রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার যে, ১৯৫৬ ভোটে হেরেছে। আসলে এসব ভাষণ দেওয়া বাঘিনী।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একেই বলে মুখের মত জবাব দেওয়া। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা এক ইঞ্চি ছেড়ে কথা বলেন না রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন নিজেকে বাঘিনীর সঙ্গে তুলনা করছেন, তখন পাল্টা সেই বাঘিনী কিভাবে তার কাছে হেরে পর্যুদস্তু হয়েছিলেন, সেই কথা উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রীকেই লজ্জায় ফেলে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী।