প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- গতকাল আদালতের অনুমতি নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী কোচবিহারে গিয়েছিলেন। কিন্তু খাগড়াবাড়িতে যেভাবে তার কনভয়ে হামলা হয়েছিল, তাতে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে যে, এই রাজ্যে কি আদৌ আইনের শাসন বলে কোনো কিছু অবশিষ্ট আছে? যেখানে বিরোধী দলনেতা পর্যন্ত নিরাপদ নন, তার বুলেটপ্রুফ গাড়ির কাঁচ যেভাবে গতকাল ভেঙে দেওয়া হয়েছে, তাতে শুভেন্দু অধিকারী অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন বলে খবর। ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতার নিরাপত্তা এবং সুরক্ষার দাবি নিয়ে যারা হামলা করেছে, তাদের গ্রেপ্তারির দাবিতে পথে নেমেছে বিজেপি। জেলায় জেলায় শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। অমিত শাহের দপ্তরের পক্ষ থেকে গোটা বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হয়েছে। তবে এবার শুভেন্দু অধিকারীর সুরক্ষা বলয়কে আরও নিশ্চিত করতে বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করলো কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।

জানা গিয়েছে, গতকালেয ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। যেখানে শুভেন্দু অধিকারীর কনভয়ে গতকাল হামলা হয়েছে, তারপরেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ফোন করে বিস্তারিত খবর নিয়েছে। পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারীর নিরাপত্তা বলয়কে আরও কঠোর করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এখন থেকে বিমানবন্দরেও থাকবে বাড়তি কেন্দ্রীয় বাহিনী। শুধু তাই নয়, শুভেন্দু অধিকারীর যে নিরাপত্তাররক্ষীরা রয়েছেন, সেক্ষেত্রেও যাতে বিরোধী দল নেতার নিরাপত্তা বলয় আরও আঁটোসাঁটো করা হয়, সেদিকেও নজর দিচ্ছে কেন্দ্র। অর্থাৎ কোনোভাবেই শুভেন্দু অধিকারী নিরাপত্তার সঙ্গে কোনো গাফিলতি করা যাবে না। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের বিমানবন্দরে বাড়তি বাহিনী মোতায়েনের এই সিদ্ধান্তের মধ্যে দিয়েই তা আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেল।

বিজেপির দাবি, তৃণমূল কংগ্রেস এই রাজ্যে শুভেন্দু অধিকারীকে দেখে ভয় পেতে শুরু করেছে। সেই কারণে কোনোভাবেই তাকে কাবু করা যাচ্ছে না জন্য প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা করছে। গতকাল এইরকমই একটি পরিকল্পনা হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ঈশ্বরের আশীর্বাদ এবং জনতার সমর্থনে বেচে গিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তবে তৃণমূল যে কায়দায় শুভেন্দু অধিকারীকে প্রাণে মেরে ফেলার চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে, তাতে ভবিষ্যতের আরও বড় কোনো ঘটনা ঘটতে পারে। তাই এখন থেকেই শুভেন্দু অধিকারীর নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও কঠোর করতে হবে বলেই মত গেরুয়া শিবিরের।

বিশেষজ্ঞদের মতে, কেন্দ্রীয় সরকার প্রথমে শুভেন্দু অধিকারী নিরাপত্তা বলয়কে আরও কঠোর করার জন্য পদক্ষেপ নিয়েছে। যা অবশ্যই প্রয়োজনীয় এবং সাধুবাদযোগ্য। কিন্তু এর পাশাপাশি যারা গতকাল এই অসভ্যতা করলো, যারা শুভেন্দু অধিকারীর কনভয়ে হামলা করলো, এবার তাদের বিরুদ্ধেও কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত কেন্দ্রীয় সরকারের। কারণ তা না হলে ২৬ এর নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে পার হওয়া কার্যত অসম্ভব। এই সমস্ত গুন্ডারা তাহলে ভেবে নেবে যে, তারা যা খুশি তাই করতে পারে। তাই তাদের দাদাগিরি বন্ধ করার জন্য একদিকে শুভেন্দু অধিকারীর নিরাপত্তা আরও সুনিশ্চিত করার পাশাপাশি যারা গতকাল তাকে প্রাণে মেরে ফেলা চক্রান্ত করেছিল, তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি গ্রহণ করা উচিত বলেই দাবি পদ্ম শিবিরের।