প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- গতকাল আদালতের অনুমতি নিয়ে কোচবিহারে গিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী‌। কিন্তু সেখানে যেভাবে তার কনভয়ে হামলা হয়েছিল, তা রীতিমত ন্যাক্কারজনক। গোটা ঘটনায় তৃণমূলের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলার পাশাপাশি রাজ্যের মন্ত্রী উদয়ন গুহর নেতৃত্বেই এই হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এমনকি পুলিশের সামনে যখন হামলা হচ্ছে, তখন পুলিশ নীরব দর্শক হয়ে রয়েছে বলেও দাবি করেছেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই শুভেন্দুবাবু এই বিষয়টিকে নিয়ে যে অনেক দূর যাবেন, তা তার বক্তব্যের মধ্যে দিয়েই স্পষ্ট ভাবে আভাস পাওয়া গিয়েছে। তবে এত কিছুর পরেও কি শোধরানোর বিন্দুমাত্র চেষ্টা করছে না তৃণমূল কংগ্রেস? সকালে শুভেন্দু অধিকারীর কনভয়ে হামলা করার পর ফের যেভাবে সেই কোচবিহার উত্তপ্ত হয়ে উঠলো বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায়, তাতে শাসকের ভূমিকা নিয়েই উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।

বলা বাহুল্য, শুভেন্দু অধিকারীর কনভয়ে হামলা হওয়ার পর যখন তৃণমূলের দিকে অভিযোগের আঙুল উঠছে, তখন তৃণমূল কংগ্রেস নিজেদের মুখ রক্ষা করতে অন্তত শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান বজায় রাখবে, এমনটাই আশা করা হয়েছিল। তবে কোচবিহারে যে সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে, যেভাবে এখানে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হচ্ছে, তাতে তৃণমূলের কাছ থেকে যে ভালো কিছু আশা করাই বৃথা, তা স্পষ্ট হয়ে গেল। যেখানে ফের কোচবিহারে আক্রান্ত হলো বিজেপি কর্মীরা। গতকালই কোচবিহারের তুফানগঞ্জ এলাকায় বিজেপির এক বুথ সভাপতি এবং এক মন্ডল সদস্যকে ব্যাপক মারধর করা হয়। তারা যখন দোকানে বসে ছিলেন, তখনই তাদের ওপর হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। আর এই গোটা ঘটনায় তৃণমূলের দিকেই অভিযোগের আঙুল উঠেছে।

ইতিমধ্যেই শাসক দলকে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, তৃণমূল সহ্যের সব সীমা লংঘন করছে। বিরোধী দলনেতার কনভয়ে হামলা করার পরেও তাদের বিন্দুমাত্র ভয় নেই। তারা আবার এই কোচবিহারের মাটিতে সন্ত্রাস চালিয়ে বিজেপি কর্মীদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে। যেভাবে লাগাতার কোচবিহারে বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা হচ্ছে, তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে কোচবিহারে কোনোমতেই শান্তিপূর্ণ ভাবে বিধানসভা নির্বাচন সম্ভব হবে না। তাই আইনের শাসন রক্ষা করতে যারা তৃণমূলের গুন্ডা, তাদের আগে জেলের ভেতরে ঢোকাতে হবে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।