প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এতদিন রাজ্যে বিজেপির বহু নেতা, কর্মীদের ওপর হামলা হয়েছে। শাসক দল অত্যাচার করেছে। কিন্তু তারপরেও সবকিছু মুখ বুজে সহ্য করেছে বিজেপি। কিন্তু সামনেই যখন বিধানসভা নির্বাচন, তখন ইট মারলে যে এবার পাটকেল মারতে হবে বিজেপি কর্মীদের, ইতিমধ্যেই সেই বার্তা দিয়েছেন অনেক নেতারাই। আর গতকাল খাগড়াবাড়িতে শুভেন্দু অধিকারীর কনভয়ে হামলার ঘটনার পরেই রীতিমত ফুঁসতে শুরু করেছে গোটা বিজেপি পরিবার। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে টায়ার জ্বালিয়ে, পথ অবরোধ করে বিক্ষোভের মত ঘটনা ঘটেছে। আর আজকেও অব্যাহত রয়েছে সেই বিক্ষোভ।

প্রসঙ্গত, গতকাল কোচবিহারের খাগড়াবাড়ি এলাকায় শুভেন্দু অধিকারীর কনভয়ে হামলার ঘটনা ঘটে। অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। আর সেই ঘটনার পরেই শুভেন্দুবাবু নিজে রাজ্যের মন্ত্রী উদয়ন গুহ সহ ৪১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। আর এসবের মধ্যেই আজ বাসন্তীতে রাজ্যের বিরোধী দলনেতার ওপর হামলার ঘটনার প্রতিবাদে শুরু হয়েছে বিজেপি কর্মীদের বিক্ষোভ‌।

জানা গিয়েছে, এদিন শুভেন্দু অধিকারীর ওপর হামলার ঘটনার প্রতিবাদে বাসন্তীতে শুরু হয় প্রতিবাদ কর্মসূচি। যেখানে বিজেপি কর্মীরা হাতে দলীয় পতাকা নিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতার ওপর কোচবিহারে যে হামলা হয়েছে, তার প্রতিবাদ করে স্লোগান তুলতে শুরু করেন। রাস্তা অবরোধ করে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মীরা। যাকে কেন্দ্র করে রীতিমত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। অর্থাৎ গেরুয়া শিবির এই প্রতিবাদ কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে গোটা রাজ্যজুড়ে এই বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করছে যে, শুধু শুভেন্দু অধিকারী নয়, এর পর থেকে যদি বিজেপির কোনো নেতা কর্মীর ওপর কোনো হামলা হয়, তাহলে তারা শাসক পক্ষকে কোনোভাবেই ছেড়ে কথা বলবে না। এভাবেই রাজ্যে অবরোধ করে প্রতিবাদ কর্মসূচি অব্যাহত রাখবে বিজেপি। স্বাভাবিকভাবেই বিজেপির এই প্রতিবাদ কর্মসূচি যেভাবে রাজ্য জুড়ে অব্যাহত থাকছে, তাতে যথেষ্ট চাপ বাড়ছে শাসকের অন্দরে বলেই মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।