প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
সম্প্রতি আদালতের অনুমতি নিয়ে কোচবিহারে গিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু সেখানেও যেভাবে তার কনভয়ে হামলা করা হয়েছে, তাতে উত্তাল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল গোটা রাজ্য জুড়ে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা সরাসরি মন্ত্রী উদায়ন গুহুর বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন। ইতিমধ্যেই তিনি একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। আর তার মাঝেই যে কোচবিহার এত উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে, এত সন্ত্রস্ত হয়ে রয়েছে, সেখানে যে তৃণমূল নিজেদের শোধরানোর বিন্দুমাত্র চেষ্টা করছে না, তার আরও একটা নজির সামনে চলে এলো। যেখানে বিজেপির আক্রান্ত কর্মীদের বাড়িতে যাওয়ার সময় এবার তৃণমূলের অসভ্যতার মুখে পড়তে হলো বিজেপি বিধায়কদের। যে ঘটনা সামনে আসতেই আরও একবার শাসক দলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধীরা।

বলা বাহুল্য, সম্প্রতি কোচবিহারের দিনহাটায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। যেখানে বিজেপির এক মহিলা কর্মী, যিনি অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন, তার বাড়িতে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। এছাড়া আরও বেশ কিছু বিজেপি কর্মীর বাড়িতে হামলা করা হয় বলেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল। এদিন সেই সমস্ত আক্রান্তদের বাড়িতেই যাওয়ার উদ্যোগ নিয়েছিলেন বিজেপি বিধায়করা যেখানে ছিলেন সুশীল বর্মন মালতী রাভা রায় সহ অন্যান্যরা। কিন্তু আশ্চর্য জনকভাবে এদিন বিজেপি বিধায়করা সেই আক্রান্তদের বাড়িতে যাওয়ার আগেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে চূড়ান্ত অসভ্যতা শুরু হয় বলে অভিযোগ। যেখানে বিজেপি বিধায়কদের বিক্ষোভ দেখানো থেকে শুরু করে তাদের গাড়িতে ভাঙচুর করা হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে।

এদিকে এই ঘটনার পরেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে বিজেপি। বিজেপির দাবি, এভাবেই গোটা কোচবিহার জেলা জুড়ে সন্ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি করে রেখেছে তৃণমূল কংগ্রেস। শুভেন্দু অধিকারীর গাড়িতে হামলা করার পরেও এরা নিজেদের বিন্দুমাত্র শুধরে নেয়নি। বরঞ্চ আজকেও তারা যেভাবে বিজেপি বিধায়কদের ওপর হামলা এবং অসভ্যতা করেছে, তার কোনো ক্ষমা নেই। অবিলম্বে প্রশাসনকে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। আগামী দিনে এই পরিবেশ থাকলে কোনোমতেই শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সম্ভব নয়। তাই মানুষ সবকিছুই প্রত্যক্ষ করছে। তৃণমূলের এই হিংসার বিরুদ্ধেই সাধারণ মানুষ আগামী বিধানসভা নির্বাচনে শাসক দলকে ছুড়ে ফেলে দেবে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।