প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- গতকাল যুবভারতীতে যে ঘটনা ঘটেছে, তাতে বাঙালি হিসেবে সকলেই লজ্জিত। এত অব্যবস্থা কেন হবে? এত বড় অনুষ্ঠানে কেন এত গাফিলতি থাকবে, তা নিয়ে সকলেই প্রশ্ন তুলছেন। সকলের একটাই কথা যে, হাজার হাজার টিকিট কেটে যে সমস্ত মেসি ভক্তরা তাদের স্বপ্নের নায়ককে দেখতে গিয়েছিলেন, তারা কেন তাদের ইচ্ছে পূরণ করতে পারবেন না? কেন মন্ত্রীরা সেই মেসিকে ঘিরে রাখবেন? স্বাভাবিকভাবেই ক্ষোভ আছড়ে পড়েছিল যুবভারতীতে। আর দর্শকদের মনের ব্যথা না বুঝে উল্টে অনেককেই এই রাজ্যের পুলিশের হাতে মার খেতে হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছেন মেসি ভক্ত সঞ্জয় হালদার। গতকাল তিনি যেভাবে রক্তাক্ত হয়েছেন, যেভাবে তার হাতে আঘাত করেছে পুলিশ, আজ সেই রক্তাক্ত ব্যান্ডেজ করা হাত সামনে এনে সোচ্চার হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

মেসি অনেকের কাছেই স্বপ্নের নায়ক। ক্রীড়া প্রেমীরা অনেক আশা নিয়ে গতকাল যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে গিয়েছিলেন যে, একবারটি মেসিকে দেখতে পাবেন। হাজার হাজার টাকা দিয়ে টিকিট কেটে তারা নিজেদের স্বপ্নের নায়ককে দেখার আশায় সময় গুলিছিলেন। কিন্তু মেসি প্রবেশ করার পর যেভাবে তাকে ঘিরে ধরেছিলেন কিছু ব্যক্তি, যেভাবে রাজ্যের মন্ত্রী এবং তাদের বাড়ির সদস্যরা মেসির সঙ্গে সেঁটে ছিলেন, তার ফলে যারা হাজার হাজার টাকা দিয়ে দর্শক হিসেবে সেখানে গিয়েছিলেন, তারা রীতিমত এই দৃশ্য দেখে আর চুপ করে থাকতে পারেননি। ফলে জনতার ক্ষোভ আছড়ে পড়েছিল। অনেকেই মেসিকে দেখতে না পেয়ে বোতল ছুঁড়তে শুরু করেন। মুহূর্তের মধ্যে লন্ডভন্ড পরিস্থিতি তৈরি হয় যুবভারতীতে। এমনকি অনেক দর্শককে পুলিশের হাতেও মার খেতে হয়েছে বলে খবর‌। যার মধ্যে অন্যতম সঞ্জয় হালদার নামে এক মেসি ভক্ত। আজ সাংবাদিক বৈঠকে সকলের সামনে সেই সঞ্জয় হালদারকে নিয়ে এসে যেভাবে তাকে মারা হয়েছে, তার প্রমাণ দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

গতকাল যুবভারতীর বিশৃঙ্খলা নিয়ে আজ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই যারা যারা গতকাল পুলিশের হাতে নিরীহ দর্শক মার খেয়েছেন, তাদের মধ্যে একজন প্রতিনিধি স্বরূপ সঞ্জয় হালদারকে এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। আর সেখানেই সঞ্জয় হালদার নামে সেই মেসি ভক্ত বলেন যে, “তিনি জোগাড়ের কাজ করেন অনেক কষ্ট করে ৫০০০ টাকা ধার করে তিনি এই টিকিট কেটেছিলেন। কিন্তু সেখানে তিনি বোতল না ছোড়া সত্ত্বেও পুলিশ তাকে মেরেছে। যার ফলে তার হাতের এই আঙ্গুলে ব্যান্ডেড করা রয়েছে।” এমনকি প্রয়োজন হলে তিনি সেই হাতের আঙ্গুলের ব্যান্ডেট খুলেও সকলকে কিভাবে সেই জায়গার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তা দেখাতে পারেন বলেও জানিয়ে দেন এই মেসিভক্ত। আর এই ঘটনাকে তুলে ধরেই আরও বেশি করে সোচ্চার হয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।