প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস যে শুভেন্দু অধিকারীর আতঙ্কের রীতিমত জেরবার, ২০২১ থেকে যে কায়দায় শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলকে চাপে রাখছেন, তা যে রাজ্যের শাসক দল কোনোমতেই হজম করতে পারছে না, তা তাদের একাধিক পদক্ষেপের মধ্যে দিয়ে ইতিমধ্যেই এই রাজ্যের মানুষের কাছে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। ফলে বাংলার মানুষকে আরও ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন গেরুয়া শিবিরের নেতারা। রাজ্যে পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে তৃণমূলের একের পর এক কীর্তি ফাস করে শাসকের যন্ত্রণা বাড়িয়ে দিচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী। আর কোনোভাবেই যখন শুভেন্দুবাবুকে কাবু করা যাচ্ছে না, তখন বিহারের বিএলওদের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তার একটি মন্তব্যকে কেন্দ্র করে নির্বাচন কমিশনের কাছে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। যার ফলে বিরোধীদের কাছে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে, এসআইআর আটকাতে না পেরে এখন শুভেন্দু অধিকারীকে বিপাকে ফেলার একটা কৌশল নিয়েছে এই রাজ্যের শাসক দল। আর শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে যে চেষ্টা তৃণমূলের পক্ষ থেকে শুরু হয়েছে, সেই ব্যাপারে বলতে গিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতার রাজনৈতিক লড়াইকে কার্যত সিলমোহর দিয়ে শাসকের আতঙ্ক বাড়িয়ে দিলেন শমীক ভট্টাচার্য।

বলা বাহুল্য, ইতিমধ্যেই এসআইআর প্রক্রিয়া রাজ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে যারা বিএলও হিসেবে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন, তাদের নিরপেক্ষভাবে কাজ করার কথা বলে বিহারের ঘটনার কথা তুলে ধরেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যেখানে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন না করলে বিহারের ৫২ জন বিএলওর মত অবস্থা হতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছিলেন তিনি। আর তার সেই বক্তব্যকে হাতিয়ার করেই নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর শাসকের এই ছটফটানি দেখেই শুভেন্দু অধিকারী যে তৃণমূলের কাছে সব থেকে বড় আতঙ্ক এবং ভয়ের কারণ, তা প্রকাশ্যেই জানিয়ে দিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি।

এদিন এই ব্যাপারে বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যকে একটি প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “তার মানেই তো শুভেন্দু নেতা। ওরা শুভেন্দুর নাম করে সকালে জল খায়। দুপুর বেলা শুভেন্দুকে গালিগালাজ করে। রাত্রিবেলা আবার শুভেন্দুর নাম করে জল খায়। আর শুভেন্দুর দুঃস্বপ্নে রাত্রিবেলা জল খেয়ে আবার ঘুমিয়ে পড়ে। আর শুভেন্দু ওর ভরসায় রাজনীতি করছে নাকি যে, এফআইআর হবে না! শুভেন্দু অধিকারী রাস্তায় বেরোলে এফআইআর হবে। তারপরেও ও থাকবে, ও লড়বে, ও জিতবে, ও হারাবে।”