প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
২০২৬ এর নির্বাচনকে সামনে রেখে বিজেপি কতটা ঐক্যবদ্ধ, এতদিন এই প্রশ্ন ছিল। তবে শমীক ভট্টাচার্য রাজ্য সভাপতি হওয়ার পর যে মাইলেজ নিয়ে বঙ্গ বিজেপি পুরো ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করছে, তাতেই বোঝা যাচ্ছে যে, তৃণমূলের স্নায়ুর চাপ ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে। বিজেপি কর্মীদের মধ্যে এতদিন সংশয় ছিল যে, নেতাদের মধ্যেই যখন সমন্বয় নেই, তখন কর্মীরা কি করে লড়াই করবে? তবে এখন দিল্লি থেকে শুরু করে রাজ্য, সকলের একটাই টার্গেট, পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতা দখল করা। আর সেই ক্ষমতা দখলের ক্ষেত্রে নিজেদের ঐক্যবদ্ধ রূপ যে অত্যন্ত প্রয়োজনীয়, তা খুব ভালো মতই বুঝতে পেরেছেন বঙ্গ বিজেপির নেতারা। তাই সমস্ত কিছু ভুলে গিয়ে এখন তৃণমূলকে বিদায় দেওয়ার লক্ষ্যে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন তারা। গতকাল খানাকুলের সভা থেকে টিম ওয়ার্কের কথা উল্লেখ করে সেই জেলায় সমস্ত আসনে বিজেপিকে জেতানোর দায়িত্ব কর্মীদের নেওয়ার কথা বলে রাজ্যজুড়ে ১৪৮ টি আসনে কি করে পদ্ম ফোটাতে হয়, তা তিনি এবং রাজ্য সভাপতি মিলে মিলিয়ে দেবেন বলে জানিয়ে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী।
প্রসঙ্গত, গতকাল আরামবাগের খানাকুলে পরিবর্তন সংকল্প যাত্রায় উপস্থিত হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যেখানে প্রচুর মানুষের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গিয়েছে। আর সেই সভাতেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ইস্যুতে আক্রমণ শানাতে দেখা যায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে। পাশাপাশি বিজেপি কর্মীদের মনের মধ্যে যে প্রশ্ন চলছে যে, বিজেপি আদৌ ক্ষমতায় আসতে পারবে কিনা! সেই প্রশ্নের উত্তর প্রকাশ্য মঞ্চ থেকেই দিয়ে দেন শুভেন্দু অধিকারী। অনেকেই ভাবছিলেন যে, শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বর্তমান রাজ্য সভাপতির সম্পর্ক ঠিক কতটা ভালো! আদৌ তারা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে পারছেন তো! এবার যাদের মনের মধ্যে সেই প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে, তাদের উত্তর প্রকাশ্য সভা থেকেই দিয়ে দিলেন শুভেন্দুবাবু।
শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “আপনারা এই এলাকা থেকে ৭ এ ৭ দিন। ৭ টা আসন আমাদের দিন। আর গোটা রাজ্যে কি করে ১৪৮ টা আসনে জিততে হয়, আমি আর শমীক ভট্টাচার্য মিলে মিলিয়ে দেব।” আর শুভেন্দুবাবুর এই বক্তব্যই বিজেপি কর্মীদের কাছে যারা নীচুতলায় লড়াই করছে, তাদের ক্ষেত্রে অত্যন্ত উজ্জীবিত হওয়ার মত। কেননা ওপরতলায় নেতাদের মধ্যে সম্পর্ক ঠিক আছে কিনা, এই নিয়ে একটা সংশয় আজও বিজেপির নীচু তলার কর্মীদের মধ্যে রয়েছে। তবে সবাই যদি নিজের জেলায় ঠিক মত কাজ করে এবং বিজেপিকে জেতাতে পারে, তাহলে যে পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতা দখল করা কোনো ব্যাপার নয় এবং রাজ্য সভাপতির সঙ্গে বিরোধী দলনেতার ঐক্যবদ্ধ রূপের ফলেই যে বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় আসবে, তা খানাকুলের সভা থেকে কর্মীদের আশ্বস্ত করে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। আর বিজেপি যৌথ নেতৃত্বের মধ্যে দিয়ে চলছে, তাদের এখন একটাই লক্ষ্য যে, তৃণমূলকে ক্ষমতাচ্যুত করা, শুভেন্দুবাবুর মুখ থেকে সেই কথা শুনে রীতিমত খুশি গেরুয়া শিবিরের নেতাকর্মীরা।