প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ২০২৬-এর নির্বাচনে ক্ষমতায় আসবে কি আসবে না, এটা একটা বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে সকলের কাছেই। রাজ্যের মানুষ চাইছে, পরিবর্তন হোক। কিন্তু দিনের শেষে ২০২১ কিংবা ২০২৪ এর মত ফলাফল এই পশ্চিমবঙ্গে হয়ে যাবে না তো? শেষ পর্যন্ত লড়াইটা দিতে পারবে তো বিজেপি? এই প্রশ্ন অনেকের মধ্যেই রয়েছে। তবে রাজ্য সভাপতি হওয়ার দিন থেকে এখনও পর্যন্ত বারবার করে শমীক ভট্টাচার্য রীতিমত কনফিডেন্ট হয়ে একটাই বার্তা প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করেছেন যে, পশ্চিমবঙ্গে এবার তৃণমূলকে ক্ষমতায় রাখার সাধ্য কারওর নেই। তৃণমূল যে ক্ষমতা থেকে বিদায় নিচ্ছে, সেই ব্যাপারে তিনি বঙ্গ বিজেপির অন্যান্য নেতার থেকে সেনাপতি হিসেবে অনেক বেশি কনফিডেন্ট। আর গতকাল সেই তৃণমূলের ক্ষমতা থেকে বিদায়ের ব্যাপারে আরও বড় বার্তা দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

প্রসঙ্গত, এই রাজ্যের বুকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়া কাজ করছে, এটা অত্যন্ত সত্যি কথা। কিন্তু দিনের শেষে প্রত্যেকটি নির্বাচনে তৃণমূল ভোট বৈতরণী খুব সহজেই পার হয়ে যায়। স্বাভাবিক ভাবেই ২০২৬-এ বিজেপি অনেক আশা নিয়ে ক্ষমতায় আসবে বলে দাবি করছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা আদৌ ক্ষমতায় আসতে পারবে তো, এই সংশয় অনেকের মধ্যেই কাজ করছে। তবে রাজ্য সভাপতি হিসেবে শমীক ভট্টাচার্য কিন্তু প্রথম দিন থেকেই কনফিডেন্ট যে এবার তৃণমূলকে ক্ষমতায় কেউ আনতে পারবে না। আর যদি তৃণমূল ক্ষমতায় আসে, তাহলে সমাজবিজ্ঞান থেকে শুরু করে রাষ্ট্রবিজ্ঞান, সমস্ত কিছু মিথ্যে হয়ে যাবে বলেই দাবি করছেন তিনি। আর এই পরিস্থিতিতে আবারও তৃণমূলের ক্ষমতা থেকে চলে যাওয়া নিয়ে বড় মন্তব্য করলেন শমীক ভট্টাচার্য।

এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। আর সেখানেই তিনি বলেন, “বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার অপেক্ষায় আছে। তৃণমূল চলে যাচ্ছে, তৃণমূল চলে যাবে। তৃণমূলের বিসর্জন অনিবার্য। সুতরাং তৃণমূল কি করলো, তৃণমূল কি বললো, কে তৃণমূল থেকে চলে গেলেন, কে তৃণমূলে এলেন, এ নিয়ে কারওর কোনো উৎসাহ নেই। আর আমরা বিরোধী দল। যখন মানুষেরই কোনো উৎসাহ নেই, তখন আমাদের কি করে উৎসাহ থাকবে বলুন!”