প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের তৃণমূল সরকার যে বেকার যুবকদের সমস্যা নিরশন করতে পারে না, তা প্রত্যেকেই বুঝে গিয়েছেন। সামান্য ভাতা, ভর্তুকি দিয়ে যে মানুষকে চুপ করে রাখার চেষ্টা করছে এই রাজ্যের অপদার্থ সরকার, তা বুঝতে বাকি নেই যুবসমাজের। তাই তারা আর কোনো উপায় না পেয়ে এখন প্রশাসনের ভয়কে উপেক্ষা করে একেবারে শাসক দলের নেতা থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামতে শুরু করেছেন। আজকের ঘটনার পর অন্তত তেমনটাই বলছে বিরোধীরা। যেখানে ২০২২ এর টেট উত্তীর্ণরা কোনো উপায় না পেয়ে এবার ইন্টারভিউ এর দাবি তুলে দীর্ঘ সময় ধরে তৃণমূলের সাংসদ এবং বিধায়কের গাড়ি ফিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করলেন। যা কার্যত এযাবৎকালের মধ্যে এক অন্য ছবি এবং এর ফলে তৃণমূল যথেষ্ট চাপে পড়ে গেল বলেই মনে করা হচ্ছে।

কি ঘটনা ঘটেছে এর আগেও ২০২২ এর তেতুর্থী নোরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন বিভিন্ন সময় তবে তাদের দাবি পূরণ না হওয়ায় আজ তাদের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যায় যেখানে বারাসাতে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য পশুর কর্মসূচির আগেই সেখানে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন 2022 সালের টেট উত্তীর্ণরা তাদের একটাই দাবি কবে নিয়োগ হবে আর সেই সময় তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় এবং তৃণমূল বিধায়ক নির্মল ঘোষের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখান তারা পরিস্থিতি সামলানোর জন্য পুলিশ চেষ্টা করলেও লাভের লাভ কিছু হয়নি দীর্ঘ সময় ধরে টেট উত্তীর্ণদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে আটকে যায় তৃণমূল সাংসদ এবং বিধায়কের গাড়ি।

বিরোধীরা বলছেন, সবে তো মানুষের এই প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। আরও অনেক কিছু দেখতে হবে এই রাজ্যের শাসক দলের নেতাদের। যারা বেকার যুব সমাজের চোখের জল মোছাবে বলে ক্ষমতায় এসেছিল, তাদের আমলেই সবথেকে বেশি বেকাররা বঞ্চিত হয়েছে। টাকার বিনিময়ে চাকরি বিক্রি হয়েছে। তাই যারা মেধা নিয়ে পরীক্ষা দিয়েছে, তাদের নিয়োগ কবে হবে? এই প্রশ্ন সকলের মধ্যেই রয়েছে। এতদিন তারা নীরবে সবকিছু সহ্য করছিলেন। কিন্তু এবার তাদের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙ্গে গিয়েছে। সেই কারণেই আজ তৃণমূলের সাংসদ থেকে শুরু করে বিধায়কদের সামনে শিক্ষিত যুব সমাজের এই জনরোষ আছড়ে পড়েছে বলেই মনে করছেন বিরোধীরা।