প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের শাসকদলের যারা দায়িত্বে রয়েছেন, তারা বেশির ভাগই চুরি এবং দুর্নীতি করেই টিকে রয়েছেন। এতদিন এই অভিযোগ করতে দেখা যেত বিরোধীদের‌। কিন্তু ২৬ এর নির্বাচনের আগে নিজের বিধানসভায় এলাকায় দুজন ব্লক সভাপতিকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। সাম্প্রতিককালে একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করতে শুরু করেছেন তিনি। আর গতকাল ভাইফোঁটা দিন নিজের বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূলের দুইজন ব্লক সভাপতিকে উদ্দেশ্য করে মন্তব্য করতে গিয়ে এই তৃণমূল বিধায়ক বুঝিয়ে দিলেন, বারবার দলকে এদের বিরুদ্ধে বলেও কোনো লাভ হয়নি। উল্টে দল এদের নিয়েই চলছে।‌ শুধু তাই নয়, যাদের বিরুদ্ধে তার অভিযোগ রয়েছে, তারা একাধিক দুর্নীতি এবং চুরির সঙ্গে জড়িত বলেও দাবি করেছেন এই তৃণমূল বিধায়ক।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে এই রাজ্যের শাসক দলের একাধিক নেতার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। বিভিন্ন সময় তারা দাবি করে যে, জেলায় জেলায় তৃণমূলের যারা দায়িত্বে রয়েছেন, তারা বেশিরভাগ মানুষের অসুবিধে করে সমস্ত জায়গা থেকে টাকা তুলছেন। কিন্তু বিরোধীদের মুখে না হয় সেই অভিযোগ শোভা পেত। কিন্তু শাসকদলেরই হেভিওয়েট বিধায়ক কি করে দলীয় নেতাদের বিরুদ্ধেই এত বড় অভিযোগ করলেন? এর ফলে তো তৃণমূল যাদেরকে দায়িত্ব দিয়েছে, তারাই রীতিমত অস্বস্তিতে পড়ে গেল। শুধু তারা নয়, এর ফলে দলীয় বিধায়ক এর মন্তব্যে তৃণমূল দল সাংগঠনিকভাবেও ২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে যথেষ্ট চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে গেল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু ঠিক কি অভিযোগ করেছেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক?

এদিন হুমায়ুন কবীর বলেন, “২০২৩ সাল থেকে ভরতপুর ১ এবং ভরতপুর ২ এর সভাপতিদের সরানোর জন্য বলে আসছি। কতবার যে চিঠি দিয়েছি, কতবার যে হোয়াটসঅ্যাপে বলেছি, কতবার যে নেতৃত্বদের বলেছি, আজ পর্যন্ত হয়েছে? তাহলে এটা থেকেই তো প্রমাণ হয় যে, কে কার কথা শোনে! অথচ যারা চোর, ছ্যাচড়ামো করছে, যারা বালির ঘাট থেকে তোলাবাজি করছে, পুলিশের কাছ থেকে ভাগ নিচ্ছে, পুলিশও মজা পেয়ে গিয়েছে। এক লরি বালি যেখানে ৪০ হাজার টাকায় পাওয়ার কথা, আজ পুলিশের জুলুমের জন্য সেটা ৫০ হাজার লাগছে।”